• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

কুড়িগ্রামে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ জুলাই ২০২০  

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমর ও ফুলকুমরসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে কুড়িগ্রামে ৯ হাজার ৭শ ৮৯ হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে করে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষকেরা।


কুড়িগ্রাম সদর যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর ঘনেশ্যামপুর গ্রামের আতিয়ার রহমান ও নজির উদ্দিন জানান, আমরা দুজন ৫ বিঘা জমিতে পাট চাষ করছি গত এক মাস থেকে খেতে পানি থাকায় সব পাট নষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়াও আমাদের চরে কাউন, ধান ও চিনাসহ অনেক ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা দিয়ে বয়ে গেছে ১৬টি নদ-নদী। যা গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদ-নদীর অববাহিকার বিভিন্ন খেত যেমন পাট, পটল ও সবজিসহ বিভিন্ন ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্রহ্মপুত্র নদ ও ধরলা নদীর অববাহিকার কৃষকেরা।
কুড়িগ্রাম সদর ঘোগাদহ ইউনিয়নের কাবলের ভিটা গ্রামের জয়নাল বলেন, ৩ বিঘা জমির জন্য আমন বীজতলা করেছি বন্যায় তা নষ্ট হয়ে গেছে। পানি শুকিয়ে গেলে আবারও বীজতলা তৈরি করতে হবে ভাই।

কুড়িগ্রাম সদর যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী সরকার বলেন, আমার ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমর নদের অববাহিকায় কৃষকরা বিভিন্ন ফসল আবাদ করেছেন, আগাম বন্যায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এখন কৃষকরা পুষিয়ে উঠতে পারবে না। কৃষকদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সরকারকে সহযোগিতা করার অনুরোধ করছি।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারের আগাম বন্যায় কুড়িগ্রাম জেলায় ৯ হাজার ৭শ ৮৯ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এখনোই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না। কৃষকদের আমনের চারার যাতে সংকট দেখা না দেয় তার জন্য আমরা কৃষি বিভাগ থেকে সহযোগিতা করবো।