• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

কুড়িগ্রামের দুই উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০২০  

ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলায় বন্যার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় তলিয়ে গেছে রৌমারী উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাট ও কয়েকশ বাড়িঘর।

রাজীবপুর উপজেলার রৌমারী টু ঢাকাগামী ডিসি রাস্তা ছাড়া ৩টি ইউপির সমস্ত এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। রাজীবপুর উপজেলা প্রশাসনিক ভবন ও চত্ত্বরে হাঁটুপানি। শিশু পার্ক, বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, রাস্তা-ঘাট, হাট বাজার বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। হতাশায় পড়েছেন কৃষকসহ খেটে খাওয়া মানুষ। তারা গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, হাঁস-মুরগীসহ ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। 

অস্যংখ্য মানুষ বন্যা থেকে বাঁচতে আশ্রয় নেয় উঁচু বাঁধসহ রাস্তায়। রাজীবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউপি ও মোহনগঞ্জ ইউপির মানুষ খুব কষ্টে জীবনযাপন করছেন। এখন পর্যন্ত রাজীবপুর উপজেলায় প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ পানিবন্দী। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দুই উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী গ্রামগুলোতে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। রাজীবপুর টু জামালপুর মহাসড়ক চরম হুমকির মধ্যে রয়েছে। স্রোত বেড়ে গেলে যে কোনো সময়ের মধ্যে ব্যস্ততম সড়কটি ভেঙ্গে গিয়ে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।  

রাজীবপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাদল বলেন, আমার ইউপিতে বেশ কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এরইমধ্যে দূর্গতদের ৩০০ শুকনো খাবার দিয়েছি। বরাদ্দ এলে আরো দেয়ার চেষ্টা করবো।

রাজীবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আকবর হোসেন (হিরো) বলেন, উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বানভাসি পরিবারকে সহযোগিতা করেছি। এরইমধ্যে রাজীবপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৬ মেট্রিক টন চাল, ৪০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও রাজীবপুর সদর ইউপির পক্ষ থেকে ৩০০ শুকনো খাবার বানভাসিদের দেয়া হয়েছে।   

রাজীবপুর ইউএনও নবিরুল ইসলাম জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। পানিবন্দীদের নিরাপদ স্থানে নেয়া হচ্ছে। যাদের বাড়ি ঘর তলিয়ে গেছে তাদেকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।