• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

কোজাগরী’র কবিতাত্রয়

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০১৮  

হেনা..

যতটা কাছাকাছি এলে বুকের মধ্যে একতারা;

ততটা দূরত্বে অক্ষর ভাসে..

ছটফট করতে করতে করতে ছায়াশরীর;

ছন্দ অলংকারে নৈবেদ্য সাজায়।

প্রতিটি ব্যর্থ প্রেম বুকের ভেতর রাজহাঁস।

ভারী স্তনে মুখ গুঁজি। কাঠঠোকরা ঠকঠক করে।

একটি নিশ্চয়তার আকাশ আঁকতে আঁকতে অনিশ্চয়তা ঘিরে নেয়।

জনহীন মাঠ দেখি।

বৃক্ষহীন শহর..

অক্ষরেখা পার করে মেহেদী গাছ থেকে এক একটি পাতা তুলি।

হাত লাল হয়।

অন্য শহরে প্রেমিকের নিশ্চিন্ত ঘুম রাত্রি বাতাসের গন্ধ এনে দেয়। প্রেমিকের পাথুরে পাঁজরে মাথা রাখা যায় না..

রজনীগন্ধা বাগানে স্থির দাঁড়িয়ে থাকি।

একটা সমুদ্র আলেখ্য রচিত হয়..

*

দোহন....

জীবনের ছেঁড়া অংশগুলো জুড়তে জুড়তে কখন যে একটা মানচিত্র এঁকে ফেলি টেরও পাই না।

একটা রাস্তা থেকে আর একটা রাস্তার দূরত্বে ছেলেটি সাইকেল নিয়ে গন্তব্য মেপে নেয়।

অঙ্কে চিরকাল আমি শূন্য।

বর্ষশেষ ; শূন্যাঙ্কের খাতায় ফিরে আসে রঙিন বেদনা।

ঠিক যতখানি দূরত্বে সমুদ্রের মাঝ বরাবর অমৃত মন্থন

ঠিক ততটা পথ হাঁটতে হাঁটতে মাছরাঙা, পানকৌড়ি বুকের ভেতর খুঁটে খায় মাশরুম।

শালিকের কিচিরমিচির বাস্তুদোষ মুছে ফেলে....

*

অশরীরী...

এক একটি সিরিঞ্জে কুয়াশা

শ্যাওলার দেওয়ালে শীত

উভচর জীবনে;

সর্দি কাশি…

মিশরীয় সভ্যতার এক একটি মমি

সাড়ে তিন হাত জমি…

থমকে

ঋতুভেজা পথ।

যন্ত্রণার রকমফের

অন্ধকারের দারুচিনি থেকে

হলুদ পাখির জিজ্ঞাসা!

বুকের ভেতর পিয়ানোবাদকের শীতকালীন চিঠি....

ভোরের শিশির...