• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

খরিপ-১ তিস্তা ব্যারাজের সেচ কার্যক্রম শুরু

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারি ২০২০  

দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকায় চলতি রবি ও খরিপ-১ মৌসুমে সেচ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার(২৮ জানুয়ারি/২০২০) সকাল হতে কমান্ড এলাকার কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী সেচ প্রদান করা হচ্ছে। এর আগে  সোমবার(২৭ জানুয়ারি) নীলফামারীর ডালিয়ার তিস্তা ব্যারাজ হতে ৪০ কিলোমিটার দুরে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার ভিন্নজগত কমান্ড এলাকার এসথ্রি আর- সেচখালের অফটেক চত্বর হতে সেচের পানি কৃষকের বোরো আবাদের জন্য প্রদানের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধোধন করা হয়েছিল। 


বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোসি প্রসাদ ঘোষ প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেচ কার্যক্রমের উদ্ধোধন করেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান পানি ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মাহফুজ আহমেদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুরের মুখ্য সম্প্রসারন কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম, রংপুর পওর সার্কেল ১ এর তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী হারুন-অর-রশিদ, সার্কেল -২ এর তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুস সহীদ ও পওর এর ঠাকুরগাও সার্কেলের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের ৭৮জন গেট অপারেট ও কমান্ড এলাকার শতশত কৃষক। উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের এস,থ্রি,আর এর পানি ব্যবস্থাপনা এসোসিয়েশনের সভাপতি রেজাউল করিম দোদুল। 


এদিকে দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের খরিপ-১ মৌসুমে বিশেষ করে বোরো আবাদের জন্য যথা সময়ে সেচ কার্যক্রম শুরু হওয়ায় কমান্ড এলাকার কৃষকদের মাঝে আন্দধারা বৈইতে শুরু করে। সংশ্লিষ্টরা জানায় উজান হতে তিস্তা নদীর  পানির প্রবাহ অত্যান্ত ভাল রয়েছে। ফলে সাড়ে ৭ হাজার সেচ খালের বিপরিতে ৫ হাজার কিউসেক পানি মজুদ রাখা সম্ভব হচ্ছে। সেচ ক্যানেলের পানি খরচ হলে পুনরায় নদী হতে পানি ভরিয়ে দেয়া হবে সেচখালে।


তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া ও নীলফামারীর কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা রাফিউল বারী জানান, ২০২০ সালে তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকার ডালিয়া-জলঢাকা-নীলফামারী সদর-কিশোরীগঞ্জ-রংপুরের তারাগঞ্জ-পাগলাপীর-গঙ্গাচড়া ও দিনাজপুরের খানসামা চিরিরবন্দর উপজেলায় চলতি খরিপ-১ মৌসুমী ৩৫ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সেচ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৯ সালের খরিপ-১ (জানুয়ারী টু মার্চ) মৌসুমে সেচ প্রদানের  লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৯ হাজার ৫০০ হেক্টরে। তবে ওই বছরে সেচ প্রদান করা হয় ৪০ হাজার ৫০০ হেক্টরে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ হাজার হেক্টর বেশী ছিল। বর্তমানে তিস্তা নদীতে উজানের পানি যেভাবে পাওয়া যাচ্ছে এতে করে আমরা হয়তো এবার ৫০ হাজার হেক্টরে সেচ প্রদান করতে পারবো। সুত্র মতে গেল খরিপ-২ মৌসুমে( আমন) তিস্তা কমান্ড এলাকায় ৫৫ হাজার হেক্টর জমি সেচ সুবিধা পেয়েছিল। 


তিস্তা কমান্ড এলাকার সেচ সুবিধাভোগি কৃষক রফিকুল ইসলাম (৫৫) বলেন, তিস্তা নদীতে এবার উজানের প্রবাহ অনেক ভাল রয়েছে। আশা করা হচ্ছে এবার বোরো ধান আবাদে তিস্তা ব্যারাজের সেচে কোন ঘাটতি হবেনা। কৃষকরা জানায় সোমবার হতে তিস্তা সেচের পানি বোরো আবাদের জমিতে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। দুই একদিনের মধ্যে জমি তৈরী করে বোরোর চারা রোপন করা শুরু হবে।  


বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ বলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদীমাতৃক বাংলাদেশের রূপ পুনরায় ফিরিয়ে আনছেন। প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনায় নদী খননের কাজ চলছে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হবার পর হতে তিস্তা নদীতে বিশেষ করে শুস্ক মৌসুমে কোন সময় পানির ঘাটতি ছিলনা। উজানের প্রবাহে আমরা বিগত সময়ের মতো এবারো কৃষকদের  চাহিদা মতো সেচ দিতে পারবো। তিস্তার পানি চ্যুক্তি না হলেও  বিগত সময়ের ন্যায়  চলমান শুস্ক মৌসুমে  নদীতে পানির গড় হিসাব চলছে ৫/৬ হাজার কিউসেক। এই প্রবাহ অব্যাহত থাকলে প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমি সেচ পাবে।