• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

খালেদার সঙ্গে নেই দেখার অনুমতি: শরিক দলের নেতাদের ক্ষোভ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ জুলাই ২০২০  

বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি না পেয়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক দলের নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।রোববার (৫ জুলাই) বেলা ১১টায় জোটের শরিক নেতাদের ভার্চুয়াল বৈঠক শুরু হয়। দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এ বৈঠক চলে। আজ সোমবার (৬ জুলাই) দুপুর ১২টায় নজরুল ইসলাম খান এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানান বিএনিপর চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান। 

বৈঠকে খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করার অনুমতি না পেলে চড়ম ক্ষোভ প্রকাশ করে নেতারা বলেন, মুক্তি পাওয়ার পর আমরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। আমাদের দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। অথচ নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে দেখা করতে দেয়া হয়েছে। মান্না দেখা করতে পারলে আমরা কেন পারবো না। ঢালাওভাবে সব শরিক নেতার সাক্ষাতের সুযোগ না হলেও অন্তত জোটের সিনিয়র কয়েকজন নেতা গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পারেন।

জোটের প্রধান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করার বিষয়ে শরিক নেতাদের পক্ষ থেকে জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসনুল হুদা বৈঠকে তুলে ধরে বলেন, সবাই না হলেও ড.অলি আহমেদসহ সিনিয়র কয়েকজনের সাথে ম্যাডামের দেখা হওয়া দরকার। খালেদা জিয়ার মুক্তির পর নাগরিক ঐক্যের মাহামুদুর রহমান মান্না দেখা করতে পারলেও ২০ দলের শীর্ষ নেতারা খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করতে না পারাতে বিরাগভাজন হন শরিক নেতারা।

সূত্র আরো জানায়, শাহাদৎ হোসেন সেলিম থাকায় বৈঠকে ঢুকেই বের হয়ে যান লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির একাংশের সভাপতি অলি আহমেদ। জানতে চাইলে শাহাদৎ হোসেন সেলিম বলেন, গতানুগতিক বৈঠক হয়েছে আমাদের। বাজেট ও করোনা পরিিস্থ নিযে আমাদের আলোচনা হয়েছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর এই প্রথমবারের মতো ভার্চুয়াল বৈঠক করে ২০ দলীয় জোট। দীর্ঘদিন পর জোটের কোনও বৈঠকে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিত্ব করলো জামায়াত। বৈঠকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ জোটের প্রায় অধিকাংশ নেতারা অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো জানাতে আজ সোমবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করবে ২০ দলীয় জোট।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের নির্বাহী সভাপতি আল্লামা নূর হোসেন কাসেমী, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব, বাংলাদেশ পিপলস লীগের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট গরীবে নেওয়াজ, ন্যাপ ভাসানী চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান আবু তাহের চৌধুরী, খেলাফত মজলিশের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের।

জানা গেছে,২০ দলীয় জোটের বৈঠকে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের নতুন আইনকে কালো আইন আখ্যা দেয়া হয়েছে। করোনা মহামারির মধ্যে এ ধরনের আইন করার বিষয়টিকে দুরভিসন্ধিমূলক বলে বৈঠকে জোট নেতারা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। এ ছাড়াও ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে পাটকল বন্ধ ও সীমান্তে বিএসএফ এর হাতে বাংলাদেশি হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়। বৈঠকে কৃষকদের ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়ার জন্য সরকারি প্রণোদনার টাকা পেতে নানা ধরনের শর্ত দেয়া হচ্ছে বলে আলোচনায় স্থান পায়। জোট নেতারা বিনাশর্তে কৃষকদের ঋণ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিসহ দেশের সার্বিক বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আমরা বেগম জিয়ার সাথে সাক্ষাত করতে চাই। মাহমুদুর রহমান মান্না দেখা করতে পারলে আমরা কেন পারবো না। আমরা সীমিত পরিসরে কয়েকজন নেতা তার সঙ্গে কথা বলতে চাই।