• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

খুলতে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার: কম খরচে যেতে পারবেন শ্রমিকরা

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০১৯  

বাংলাদেশিদের জন্য আবারো খুলতে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। এ লক্ষ্যে আগামী ২৪ ও ২৫ নভেম্বর ঢাকায় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের এক সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভার পর কম খরচেই দেশটিতে পাঠানো শুরু হবে বাংলাদেশি কর্মীদের।

জানা গেছে, ২০১৬ সালে পাঁচটি খাতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সমন্বয়ে ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে এ দেশ থেকে কর্মী নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মালয়েশিয়া সরকার। এ লক্ষ্যে ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়। এই চুক্তির আওতায় লোক পাঠানোর অনুমতি দেয়া হয় ১০টি জনশক্তি রফতানিকারক এজেন্সিকে।

এজেন্সিগুলো হলো- ক্যারিয়ার ওভারসিজ, এইচএসএমটি হিউম্যান রিসোর্স, সানজারি ইন্টারন্যাশনাল, রাব্বী ইন্টারন্যাশনাল, প্যাসেজ অ্যাসোসিয়েটস, ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল, ইউনিক ইস্টার্ন প্রাইভেট লিমিটেড, আমিন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, প্রান্তিক ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরিজম ও আল ইসলাম ওভারসিজ।

চুক্তির এক বছর পর ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু হয়। এই প্রক্রিয়ায় ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যান ২ লাখ ৭৫ হাজার ৭১৪ জন। সরকারি হিসাবে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর খরচ ছিল সাড়ে ৩৭ হাজার টাকা। কিন্তু এজেন্সিগুলো জনপ্রতি তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠে।

অভিযোগ রয়েছে, ১০ এজেন্সিকে নিয়ে সিন্ডিকেট করে একটি চক্র। তারা শ্রমিকদের কাছ থেকে দুই বছরে অন্তত দুইশ’ কোটি রিঙ্গিত (চার হাজার কোটি টাকা) হাতিয়ে নিয়েছে। এরপর ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে বাংলাদেশি কর্মীদের আর ভিসা দেয়নি মালয়েশিয়া। তবে বাংলাদেশ সরকারের তৎপরতায় আবারো খুলতে যাচ্ছে দেশটির শ্রমবাজার।

পুনরায় শ্রমবাজার চালু করার জন্য তিনবার মালয়েশিয়া সফর করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ। সর্বশেষ গত ৫ থেকে ৮ নভেম্বর দেশটি সফর করেন তিনি।

জানা যায়, গত ৬ নভেম্বর মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের পার্লামেন্ট ভবনে দেশটির মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এম কুলাসেগারানের সঙ্গে বৈঠক করেন ইমরান আহমদ। বৈঠকে দ্রুত সময়ে মধ্যে বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া শ্রমবাজার খুলে দেয়ার ব্যাপারে একমত পোষণ করে মালয় সরকার।

বৈঠকে দু’দেশের মন্ত্রীরা ন্যূনতম অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া উভয় দেশের রিক্রুটিং এজেন্সির সম্পৃক্ততার পরিধি, মেডিকেল পরীক্ষা, কর্মীদের সামাজিক ও আর্থিক সুরক্ষা এবং ডাটা শেয়ারিং বিষয়ে আলোচনা হয়।

এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, তিনি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার পর এ পর্যন্ত তিনবার মালয়েশিয়া সফর করেছেন। শিগগিরই দেশটিতে বাংলাদেশি কর্মী পাঠানো শুরু হবে। কর্মী পাঠানোর জন্য নতুন করে ডেটাব্যাংক তৈরি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী আরো বলেন, যারা মালয়েশিয়া যেতে চাইবেন তাদেরকে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে যেতে হবে। কম খরচে কর্মীদের পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য এ পদ্ধতিটি অবলম্বন করা হবে। আমাদের মূল উদ্দেশ হচ্ছে সবচেয়ে কম টাকায় মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানো। এছাড়া কর্মীদের বিড়ম্বনা নিরসনে বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার আগে মাত্র একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার সিদ্ধান্ত হয়েছে।