• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

গাইবান্ধার সাবেক এমপি লিটন হত্যার রায় ২৮ নভেম্বর

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৯  

গাইবান্ধার সাবেক এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই যুক্তিতর্ক শেষ হয়।

আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক মামলার সাক্ষী ও আসামিদের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক গ্রহণ করেন। আগামী ২৮ নভেম্বর এই মামলার রায়ের দিন ধার্য করেছে আদালত।

এর আগে সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে আদালতে যুক্তিতর্ক শুরু হয়। প্রথমদিনে যুক্তিতর্ক শেষ না হওয়ায় মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনে প্রায় ৩ ঘণ্টা আদালতে যুক্তিতর্ক খণ্ডন করেন রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

যুক্তিতর্কের সময় আদালতে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত সাবেক এমপি আবদুল কাদের খানসহ আট আসামির মধ্যে ছয় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। 

জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, সাক্ষ্য-প্রমাণসহ মামলার নানা দিক আলোকপাত করে আদালতে যুক্তিতর্ক তুলে ধরা হয়েছে। যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আগামী ২৮ নভেম্বর মামলার রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেছেন বিচারক। আশা করছি, এ মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ বলেন, এমপি লিটনকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছে। এ মামলায় আসামি কাদের খানকে ফাঁসানো হয়েছে। আসামিদের নির্দোষ দাবি করে আদালতে বিস্তারিত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। রায় সন্তোষজনক না হলে উচ্চ আদালতে যাবেন বলেও জানান তিনি।

২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল আলোচিত এ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় এবং শেষ হয় ৩১ অক্টোবর। এ পর্যন্ত আদালতে মামলার বাদী, নিহতের স্ত্রী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৫৯ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের তৎকালীন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। পরে ওই দিন রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় পরদিন সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন তার ছোট বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী। তদন্ত শেষে কাদের খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।