• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

গাইবান্ধায় আদিবাসী ও বাঙালী নারীদের বিশ্ব গ্রামীণ নারী দিবস পালন

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০১৯  

গ্রামীণ নারীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ এবং মর্যাদাকে সুসংহত করে তাদের জীবন মান উন্নয়ন ও অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে মঙ্গলবার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম এলাকায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

কাটাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আদিবাসী নেত্রী ও গবেষক কেরিনা হাসদা, শান্তনিকা মুরমু, মহিলা মেম্বার রোকেয়া বেগম, মরিয়ম বেগম, আবিয়া বেগম, কাটাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার আব্দুল কাদের, মামুন মিয়া, শফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আজমল হোসেন, অবলম্বনের প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর তোফাজ্জল হোসেন, প্রজেক্ট অফিসার দীপ্তি মুরমু, আদিবাসী ইয়ুথ লিডার তেরেসা সরেন প্রমুখ।

বক্তরা বলেন দেশের সাধারণ দারিদ্র হার ২১ শতাংশ আর আদিবাসী জনগোষ্ঠীর দারিদ্র হার ৬০ শতাংশ। আদিবাসী জনগোষ্ঠীর দারিদ্র দূরীকরণে বিশেষ কর্মসূচি নিতে হবে। আদিবাসী অধ্যুষ্যিত অঞ্চলগুলোতে দারিদ্র বিমোচন ত্বরান্বিত করতে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর আরো যুগোপযোগী কর্মসূচি নেয়া প্রয়োজন। সুবিধাভোগীদের প্রয়োজন অনুযায়ী নগদ সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া, সঞ্চয়কে উৎসাহিত করা, আদিবাসী মানুষের জীবিকার কথা বিবেচনা করে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

বক্তারা আরো বলেন সমাজের অগ্রগতিতে গ্রামীণ নারীর অবদান অনস্বীকার্য। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই নারী; আর তার শতকরা ৮৬ ভাগের বাস গ্রামে। গবেষণায় দেখা যায়, গ্রামীণ নারীরা দিনের মোট সময়ের শতকরা ৫৩ ভাগ ব্যয় করে কৃষি ও ক্ষুদ্রশিল্প ক্ষেত্রে। যেখানে পুরুষরা ব্যয় করে শতকরা ৪৭ ভাগ সময়। একজন গ্রামীণ নারী প্রতিদিন ১৬-১৮ ঘন্টা পারিবারিক ও কৃষি কাজে ব্যস্ত থাকলেও অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতা বলয় থেকে তাদের অবস্থান অনেক দূরে।

নারীর ক্ষমতায়নের পথকে সুগম করতে জাতীয় কৃষি অর্থনীতিতে গ্রামীণ নারীর অবদান ও ভূমিকার যথাযথ মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি, জাতীয় কৃষিনীতি ২০১৩ অনুযায়ী উৎপাদন ও বিপণনে নারীর অংশগ্রহণ ও আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করা, নারী কৃষকদের কাজ থেকে সরাসরি পণ্য ক্রয় করা, সম্পত্তিতে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, নারীর প্রতি শ্রম বৈষম্য দূর করা। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের নারীর সামগ্রিক অবদানের মূল্যায়ন করা, যা সমাজে নারীর সম্মান ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় সহায়কের ভূমিকা পালন করবে। অবলম্বন এর আয়োজনে ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত দিবস পালিত হয়।