• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

গারো পাহাড়ের পাদদেশে চা চাষ বাড়ানোর উদ্যোগ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২০  

ময়মনসিংহের গারো পাহাড়ের পাদদেশে চা চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় পরীক্ষামূলক চা উৎপাদন শুরু হয়েছে। সফলতা পাওয়ায় বৃহত্তর ময়মনসিংহের গারো পাহাড়ের পাদদেশে চা চাষ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে চা বোর্ড।

এ জন্য ময়মনসিংহ অঞ্চলে স্থাপন করা হবে চা বোর্ডের আঞ্চলিক অফিস। গতকাল রবিবার চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে চা বোর্ডের একটি প্রতিনিধিদল শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার পাহাড়ি জনপদের বিভিন্ন অঞ্চল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

এর আগে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধিদলটি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, টাঙ্গাইলের মধুপুরসহ আরো কয়েকটি জেলার বিভিন্ন উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চলের পরীক্ষামূলক চা বাগান পরিদর্শন করে। দলে ছিলেন চা বোর্ডের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাসুদ রানা, কীটতত্ত্ব বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন, মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাঈম মোস্তফা আলী ও সহকারী উন্নয়ন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান আকন্দ।

তাঁরা প্রতিটি বাগানের মাটিও পরীক্ষার করেন। পরিদর্শকদল ঝিনাইগাতীর বনাঞ্চলঘেরা গজনী, বাকাকুড়া এবং শ্রীবরদীর খাড়ামোড়া এলাকায় যান। সেসব স্থানে গারো হিলস টি কম্পানির মাধ্যমে সৃজন করা পরীক্ষামূলক চা বাগান পরিদর্শন করেন এবং চা চাষিদের সঙ্গে মতবিনিময়সভা করেন।

তাঁরা এই এলাকাকে চা বাগানের জন্য উপযুক্ত হিসেবে শনাক্ত করেন। ঝিনাইগাতীর গজনীর বনরানী রেস্টহাউসে স্থানীয় সাংবাদিক ও গারো হিলস টি কম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আলী জানান, চা বোর্ড বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের গারো পাহাড়ের পাদদেশে চা চাষ সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে।