• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

গুজব ছড়ানোয় ২১০টি ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করলো গুগল

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০১৯  

হংকংয়ে চলমান গণবিক্ষোভ নিয়ে গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে ২১০টি ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছে গুগল। বৃহস্পতিবার এক ঘোষণায় গুগল এ তথ্য জানিয়েছে। 

গুগল জানায়, আন্দোলনকে প্রভাবিত করতে ব্যবহার করা হচ্ছিল এমন ২১০টি চ্যানেল সপ্তাহের শুরুর দিকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। চ্যানেলগুলোতে হংকংয়ে চলমান আন্দোলন সম্পর্কে নানা ধরনের ভিডিও আপলোড করা হতো। 

ধারণা করা হচ্ছে চীন রাষ্ট্রীয়ভাবে এসব চ্যানেল ব্যবহারের মাধ্যমে আন্দোলন সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়াতে পেছন থেকে কাজ করেছে। এর আগে সপ্তাহের শুরুর দিকে একই অভিযোগে টুইটার ও ফেসবুকও একই ধরনের পদক্ষেপ নেয়।

ফেসবুক ও টুইটার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা হংকং বিক্ষোভের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে প্রায় ১ হাজারটি সক্রিয় অ্যাকাউন্ট বাতিল করে দিয়েছে।

অ্যাকাউন্টগুলো থেকে চীনের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হংকংয়ের চলমান আন্দোলন খাটো করে নানা ধরনের পোস্ট দেয়া হতো বলে টুইটার জানায়। তবে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি গুগল। এছাড়া চীনা সংবাদমাধ্যম জিনহুয়া’র মতো রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া সংস্থাগুলির বিজ্ঞাপন বিক্রয় নিষিদ্ধ করা নিয়ে তারা কোন পরিকল্পনা করেছে কিনা সে সম্পর্কেও কিছু জানায়নি।

হংকং বিরোধী বিজ্ঞাপনগুলিকে ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার হওয়ায় তীব্র সমালোচনার পর, টুইটার ঘোষণা করে যে তারা আর আর্থিক ও সম্পাদকীয়ভাবে সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমের বিজ্ঞাপনগুলিকে আর অনুমতি দেবে না।

অপরাধ প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে প্রায় পাঁচ মাস ধরে বিক্ষোভে উত্তাল গোটা হংকং। যে বিক্ষোভ এখন মোড় নিয়েছে স্বাধীনতা আন্দোলনে। বিক্ষোভের মুখে অঞ্চলটির প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম বিলটিকে ‘মৃত’ ঘোষণা করলেও বিক্ষোভকারীদের আন্দোলন এখন আর থামছে না।

অপরাধী প্রত্যর্পণ আইন অনুযায়ী, চীন যদি চায় সন্দেহভাজন অপরাধীদের নিজ ভূ-খণ্ডে নিয়ে বিচারের মুখোমুখি করতে পারবে। আইনে বলা হয়েছে, বেইজিং, ম্যাকাও ও তাইওয়ান থেকে পালিয়ে আসা কোনো অপরাধীকে ফেরত চাইলে তাকে ফেরত দিতে হবে।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে হংকংয়ের এক তরুণ তাইওয়ানে এক নারীকে হত্যা করে হংকংয়ে চলে আসেন পালিয়ে। তখন তরুণকে বিচারের মুখোমুখি করতে তাইওয়ান ফেরত চাইলে হংকং আইনি জটিলতার কথা বলে। এ প্রেক্ষাপটে প্রত্যর্পণ আইনটি হংকংয়ের নিজস্ব আইনে প্রণীত করার প্রস্তাব আসে।

সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশ ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত হংকং ১৯৭৭ সালে চীনের অধীনে ফেরার পর থেকে ‘এক রাষ্ট্র দুই নীতি’র অধীনে পরিচালিত। যদিও গত দুই দশক ধরে নানা ইস্যুতে চীন সরকারের সঙ্গে কড়াকড়ি চলছে অঞ্চলটির।