• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

গ্রুপিংয়ে বিপর্যস্ত জাতীয়তাবাদী মহিলা দল

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০  

আফরোজা আব্বাস ও সুলতানা আহমেদের গ্রুপিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুই নেত্রীর এই দ্বন্দ্বের কারণে মহিলা দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম আজ পুরোপুরি নিষ্ক্রিয়। তাদের সিন্ডিকেটের কারণে নতুন নেতৃত্ব তৈরি হচ্ছে না, যার খেসারত দিতে হচ্ছে বিএনপিকে।

দলীয় সূত্র জানায়, গত ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা দলের র‍্যালিতে আফরোজা আব্বাস ও সুলতানা আহমেদের গ্রুপের মধ্যে হট্টগোল হয়। পরে তারেক রহমান মহিলা দলের সব কার্যক্রম স্থগিত করেন। এরপর থেকেই সংগঠনটির কার্যক্রম আজও স্থগিত রয়েছে। তবে ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গত ৯ সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানাতে মহিলা দলের বিভক্তির বিষয়টি ফের আলোচনায় আসে।

কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশ ছিল আফরোজা আব্বাস তার ১০ জন অনুসারী এবং সুলতানা আহমেদ তার ১০ জন সমর্থক নিয়ে এদিন জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানাবেন। কিন্তু আফরোজা আব্বাস সাবেক মহিলা দলের পাঁচ এমপিসহ প্রায় ৬০/৭০ জন কর্মী নিয়ে চন্দ্রিমা উদ্যানে উপস্থিত হন। অপরদিকে সুলতানা আহমেদ ৪ জন কর্মী নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে আরো ২০ থেকে ২৫ জন কর্মী গুছিয়ে চন্দ্রিমা উদ্যানে প্রবেশ করেন। তিনি চন্দ্রিমা উদ্যানে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই সুলতানা আহমেদ তার কাছে আফরোজা আব্বাসের নামে বদনাম করতে থাকেন। পরে সুলতানাকে ধমক দিয়ে থামান নজরুল ইসলাম খান।

সূত্রটি আরো জানায়, সুলতানা আহমেদ মহিলা দলের নামমাত্র সাধারণ সম্পাদক। প্রকৃতপক্ষে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান। তার স্বাক্ষরেই ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কর্মসূচির কার্ড দেশের সব জেলা কমিটির কাছে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এক নেতা বলেন, মহিলা দলের দুই নেত্রীর এই দ্বন্দ্বের কারণে বিএনপিতে বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা খুব শিগগিরই এর একটা বিহিত করবেন।

২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আফরোজা আব্বাসকে সভাপতি এবং সুলতানা আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরে ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।