• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

চীনে এক সন্তান নীতি শিথিলের পরেও বাড়েনি জন্মহার

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারি ২০২০  

এক সন্তান নীতি থেকে সরে আসার পরও দেশে শিশু জন্মহার বাড়াতে পারেনি চীন সরকার। উল্টো গত বছর জন্মহার আরো কমে নতুন রেকর্ড গড়েছে দেশটি। গত ৭০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম শিশুর জন্ম হয়েছে দেশটিতে।
  
চীনা পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটিতে ২০১৯ সালে এক কোটি ৪৬ লাখ ৫০ হাজার শিশুর জন্ম হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় যা পাঁচ লাখ ৮০ হাজার কম। ১৯৪৯ সালের পর শিশু জন্মহারের ক্ষেত্রে এটি সর্বনিম্ন। এদিকে জন্মহার কমার পরও গত বছর চীনের জনসংখ্যা বেড়েছে। জন্মহারের তুলনায় মৃত্যুহার আরো কম হওয়ায় দেশটির জনসংখ্যা বেড়ে চলেছে।

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৯৭৯ সালে এক সন্তান নীতি চালু করে চীন সরকার। যেসব পরিবার এ নীতি লংঘন করতো তাদেরকে জরিমানার মুখে পড়তে হতো, কাউকে কাউকে হতে হতো চাকরিহারা।

‘এক সন্তান’ নীতির কঠোর প্রয়োগের কারণে দেশটিতে প্রায়ই জোর করে গর্ভপাত করানোর ঘটনাও ঘটেছে বলে বিবিসি জানিয়েছে। এমন পদক্ষেপের ফলে চীনে নারী-পুরুষের অনুপাতে বড় ধরনের পার্থক্য রয়ে গেছে বলেও অনেকে মনে করেন। ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী দেশটিতে পুরুষের সংখ্যা নারীদের চেয়ে তিন কোটিরও বেশি।

তবে পাঁচ বছর আগে, ২০১৫ সালে চীনের সরকার ‘এক সন্তান’ নীতি শিথিল করে পরিবারগুলোকে দুটি সন্তান নেয়ার অনুমতি দেয়। এরপর দুই বছর জন্মহার খানিকটা বাড়লেও পরের বছরগুলোতে ফের তা নামতে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের বেশিরভাগ পরিবারগুলোর একটির বেশি সন্তান নেওয়ার সামর্থ্য নেই।

জন্মহার বাড়াতে ‘এক সন্তান’ নীতি শিথিলের পাশাপাশি শিশুর যত্নে আর্থিক সহায়তা, পিতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ বাড়ানোসহ বেশকিছু পদক্ষেপ নিতেও পরামর্শ দিয়েছেন তারা।