• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

চীনে রহস্যজনক ভাইরাসে আক্রান্ত শতাধিক

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারি ২০২০  

রহস্যজনক ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন চীনের শতাধিক মানুষ। ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এখন পর্যন্ত ৪১ জনের নতুন এই ভাইরাসের আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৭০০।

অনেকটা নিউমোনিয়ার মতোই এই ভাইরাসটি এক ধরনের করোনা ভাইরাস। উহান হেলথ কমিশন জানিয়েছে, রহস্যজনক এই ভাইরাসে অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১২ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও পাঁচজন এখনও চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের অবস্থা বেশ গুরুতর। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সামুদ্রিক খাবার বিক্রির একটি বাজার থেকে এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।

এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। ডিসেম্বরে উহান শহরে এই ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ে গবেষণা করা অধ্যাপক নেইল ফার্গুসন বলেন, এক সপ্তাহ আগের চেয়ে আমি এখন এই বিষয়ে অনেক বেশি উগ্বিগ্ন।

চীনের উহান থেকে আসা যাত্রীদের সিঙ্গাপুর এবং হংকংয়ের বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রও ঘোষণা করেছে যে, তারা শুক্রবার থেকে সান ফ্রান্সিসকো, লস অ্যাঞ্জেলস এবং নিউইয়র্কের প্রধান বিমানবন্দরে একই ধরনের কার্যক্রম শুরু করবে। কারণ আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্বারা এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র জানিয়েছে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রথমেই যে লক্ষণগুলো পাওয়া গেছে সেগুলো হলো, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশি। এ থেকে প্রথমেই মনে হতে পারে যে রোগী নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, একজনের শরীর থেকে অপরজনের শরীরে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া না গেলেও এ ধরনের সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে পরিবারের লোকজনের মধ্যে সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি।