• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

চুরি ঠেকাতে পকেটবিহীন পোশাক বাধ্যতামূলক

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারি ২০২০  

এবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের লাগেজ কাটা রোধে লোডারদের (মালামাল খালাসে নিয়োজিত কর্মী) পকেটবিহীন পোশাক বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। আগামী এক মাসের মধ্যে শাহজালাল বিমানবন্দরে পকেটবিহীন নতুন পোশাকে দেখা যাবে লোডারদের। বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 
যাত্রীদের লাগেজ কাটা বা চুরির বিষয়ে সোমবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মহিবুল হক সাংবাদিকদের বলেন, বিমানবন্দরে কোনো লাগেজ কাটে না। বিমানবন্দরে সিভিল এভিয়েশন, এপিবিএন, এনএসআইসহ বিভিন্ন সংস্থার আলাদা সিসি ক্যামেরা আছে। কোথাও কোনো লাগেজ কাটার সুযোগ নেই, এমনকি কেউ যদি চেইন খুলে হাত ঢোকানোর চেষ্টা করে সঙ্গে সঙ্গে তাকে ধরে জেলে দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা লাগেজ ব্যবস্থাপনাকে সমন্বয় করিনি। এটা সেন্ট্রালি থাকা উচিত। এতে কাজটা ভালো হবে। কোনো অনিয়ম হলেই ধরা পড়বে। এনএসআইয়ের হাতে ধরা না পড়লে এপিবিএনের হাতে ধরা পড়বে। বিমানে যদি কোনো লুজ লাগেজে যদি লোডাররা হাত দেয়, সেখানে আসলে আমাদের দেখার সুযোগ নেই। তবে এর প্রিভেনটিভ হিসেবে লোডারদের জন্য পকেটবিহীন প্যান্ট ও শার্টের ব্যবস্থা করছি। সেগুলোর অর্ডার দেয়া হয়ে গেছে। মাসখানেকের মধ্যে পেয়ে যাব। লোডারদের জামার ও প্যান্টের পকেট থাকবে না। আমরা এরইমধ্যে ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে দিয়েছি। 

লাগেজ পেতে দেরি হয় বলে অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এখন আর লাগেজ পেতে দেরি হয় না। দুবাই, দোহা বা অন্য এয়ারপোর্টে যাত্রীদের ইমিগ্রেশন পেরিয়ে লাগেজের কাছে যেতে কমপক্ষে ৩০ মিনিট সময় লাগে। আমাদের এখানে ৩০ মিনিট লাগে না। এখানে ১০ মিনিটের মধ্যে চলে আসতে পারেন। তারপরও এটা মনিটর করছি। শাহজালাল বিমানবন্দরে নতুন যে থার্ড টার্মিনাল হচ্ছে, সেখানে লাগেজ ব্যবস্থাপনা আউটসোর্সিং হয়ে যাবে। বিমান আর করবে না। আমরা খবরের কাগজে টেন্ডার আহ্বান করে বিজ্ঞাপন দেব, বিমান যদি কাজ পায় এভাবে পাবে।

আউটসোর্সিং হলে লাগেজ পেতে দেরি হলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারব, আমরা জরিমানা করতে পারব। প্রতি ৫ মিনিট দেরির জন্য আমরা তাকে জরিমানা করব। সরকারি সংস্থা হওয়ায় বিমানের বিরুদ্ধে তো কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।