• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

চৈত্রের খরতাপে যৌবন ফিরেছে তিস্তায়, কৃষক-জেলেদের স্বস্তি

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২১  

চৈত্রের খরতাপে বোরো ক্ষেত ফেটে চৌচির। বৃষ্টির দেখা নেই, কৃষকের চোখে-মুখে দুশ্চিন্তা। এমন সময় যৌবন ফিরে পেয়েছে তিস্তা নদী। উজানের টানে নদীর পানি প্রবেশ করছে বোরো ক্ষেতে। এতে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে, জেলেদেরও সোনায় সোহাগা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, তিস্তা নদীর পানি ব্যারাজ অতিক্রম করে চলে যাচ্ছে ভাটির দিকে। সেচ ক্যানেলগুলো টইটম্বুর হতে শুরু করেছে। ভরা তিস্তায় মাছ ধরায় মেতে উঠেছেন জেলেরা। তিনদিন ধরে তিস্তার বুকে পানি প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় মাছও পাওয়া যাচ্ছে প্রচুর। ক্যানেলগুলো ভরা থাকায় চলতি বোরো মৌসুমে তিস্তা ব্যারাজ কমান্ড এলাকার লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, দিনাজপুরের ১২টি উপজেলায় ৬৫ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে সেচ চলমান।

তিস্তা ব্যারাজের পানি পরিমাপক অফিস বলছে, তিনদিনে উজানের ঢলে তিস্তায় প্রায় ১৮ হাজার কিউসেকের মতো পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে, পানি প্রবাহ ছিল মাত্র এক হাজার ৪০০ কিউসেক।

সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার তিস্তার পানিপ্রবাহ ছিল ৪৯ দশমিক ৭০ মিটার। আগেরদিন ১০০ সেন্টিমিটার বেড়ে দাঁড়ায় ৫০ দশমিক ৭০ মিটারে। দুইদিন আগে ৬৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে পানি প্রবাহ দাঁড়ায় ৫১ দশমিক ৩৫ মিটারে। পাশাপাশি উজানের ঢল অব্যাহত থাকায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে শুকিয়ে যাওয়া নদী।

তিস্তাপাড়ের পূর্ব ছাতনাই গ্রামের শাহ আলী বলেন, তিস্তা নদী থেকে হঠাৎ স্রোতের শব্দ শুনতে পাই। ছুটে গিয়ে দেখি উজান থেকে প্রচণ্ড বেগে পানি আসছে। এতে আমাদের অনেক উপকার হচ্ছে। পানি না থাকায় জমিতে সেচ দেয়া যাচ্ছিল না।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ বলেন, তিস্তায় হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ভালো বলেই মনে করছি। এতে তিস্তা সেচ প্রকল্পের আওতাধীন জমিগুলোতে সেচ দেয়া সহজ হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, প্রকল্প এরিয়ার এক লাখ ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে সেচের পানি পৌঁছে দিতে ৭৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ সেকেন্ডারি আর টারসিয়ারি সেচ ক্যানেল নির্মাণে একটি বিশেষ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা। প্রকল্পটি পাস হলেই সেকেন্ডারি সেচ ক্যানেলগুলোতে সিসি লাইনিং এবং টারসিয়ারি ক্যানেলগুলোতে আরসিসি ঢালাই দেয়া হবে। এতে অপচয় ছাড়াই দ্রুত পানি পৌঁছে যাবে জমিতে।