• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

জঙ্গিরা তিনটি টুপি এনেছিল কারাগার থেকে

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর ২০১৯  

হলি আর্টিজান মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যানসহ তিন জঙ্গি মোট তিনটি টুপি এনেছিল। এরমধ্যে দুইটি সাদা ও আরেকটি কালো।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ‘জঙ্গির মাথায় আইএস টুপি’ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মাহবুব আলম এ তথ্য জানান।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন শেষে এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করেছি। কারাগার থেকে বের হওয়ার সময় তল্লাশি করা হয়েছে। তবে তাদের কাছে যে টুপি ছিল তা রেখে দেয়া হয়নি। বরং নির্বিঘ্নে তাদের টুপি নিয়ে আসতে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, মোট তিনটি টুপি এসেছিল, এরমধ্যে দুইটি সাদা ও একটি কালো টুপি। তবে কোনো লোগো ফুটেজে ধরা পড়েনি।

এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আলম বলেন, কারারক্ষীরা হয়তো বুঝতেই পারেনি এটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ (সিগনিফিকেন্স)। টুপি তো নামাজের অংশ। তাই হয়ত তারা ছেড়ে দিয়েছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জঙ্গিদের কাছে এভাবে একাধিক টুপি আসতে পারে। লোগো থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে। তবে আমাদের তদন্তে ধরা পড়েনি। এমনও হতে পারে, তারা যে টুপি কারাগার থেকে এনেছিল, আদালতে রায় শোনার পর তা তারা উল্টে পড়েছে।

রিগ্যানের বিষয়ে তিনি বলেন, আইএস টুপি বিতর্কের পর তদন্তের স্বার্থে তাকে অনেক সংস্থাই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। রিগ্যান কারাগারে এক ধরনের বক্তব্য দিয়েছে, গোয়েন্দা পুলিশের কাছে আরেক বক্তব্য দিয়েছে, আবার আদালতে গিয়ে ভিন্ন ধরনের বক্তব্য দিয়েছে।

আদালতের নিরাপত্তার বিষয়ে ডিএমপিরা যুগ্ম কমিশনার বলেন, সেদিন আদালতে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। এরপরেও আদালতে রিগ্যান বলেছে, ভিড়ের মধ্যে কেউ একজন তাকে টুপি দিয়েছে। সেদিন পুলিশ, সাংবাদিক আর আইনজীবী ছাড়া কেউ ছিলেন না। সাংবাদিক ও আইনজীবীর বিষয়টি আদালতে একটা ফ্রেমে আনা দরকার। এমন কোনো সিস্টেম দাঁড় করানো দরকার যাতে আইনজীবী তার পেশায় থাকতে পারে আর সাংবাদিক যাতে তার রিপোর্ট কাভার করতে পারে। পুলিশ তার নিরাপত্তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারে।

আইএস টুপির বিষয়ে তদন্তের জন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পান গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম। কমিটি দু একদিনের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনারের কাছে জমা দেবেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে কারা অধিদফতর থেকে যে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, জঙ্গি রিগ্যানের মাথায় যে আইএস লোগো সম্বলিত টুপি দেখা গেছে, তা কারাগার থেকে যায়নি।