• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

জলঢাকায় পিইসি পরীক্ষায় প্রক্সি, ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৯  

ভুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে নীলফামারী জলঢাকা উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম-অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা সঠিক পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকায় তাদের হয়ে ভুয়া পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। প্রবেশপত্রের নামের সাথে অনেক পরীক্ষার্থীর নাম-চেহারা মিলছে না।

এমন অভিযোগে সোমবার (১৮ নভেম্বর) নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার কাঁঠালী ইউনিয়নের উত্তর দেশীবাই নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোশফেকুর রহমান ওই কেন্দ্রে পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনে তিনি অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ৮ শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করেন।

বহিস্কৃতরা হলে আজিম ইসলাম,বাবু, তারিকুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, সিয়াম, তানিয়া,আইরিন ও লিমন ইসলাম। তারা সকলেই কাঁঠালী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসার সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। 

অভিযোগ এরা সকলে উত্তর দেশীবাই ইসলামীয়া কছিমিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার হয়ে ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় আট ছাত্রের বদলে ভাড়ায় পরীক্ষায় প্রক্সি দিচ্ছে। বহিস্কৃতরা উপস্থিত সকলের সামনে স্বীকার করে যে তারা অন্য আট জনের হয়ে শুরু থেকে পরীক্ষা দিচ্ছে। ওই শিক্ষার্থীরা আরও জানায় উত্তর দেশীবাই ইসলামীয়া কছিমিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক অলিয়ার রহমান তাদের প্রত্যেককে টাকার লোভ দেখিয়ে এ কাজে বাধ্য করেছে। এদিকে এ ঘটনার সাথে জড়িত শিক্ষার্থীকে তৎক্ষণিক বহিস্কার করা হয়। পরে তাদের বয়সের দিক বিবেচনা করে কাঁঠালী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন তুহিনের কাছে ছেড়ে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোশফেকুর রহমান সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগে প্রমাণ পাওয়ায় তাদেরকে বহিস্কার করা হয়েছে। 

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মাদ বলেন, অভিযুক্ত উত্তর দেশীবাই ইসলামীয়া কছিমিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে ওই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক অলিয়ার রহমানের সঙ্গে কথা বলার চেস্টা করা হলে তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি এমনকি তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।