• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

জাতিসংঘের ১৭ তরুণ নেতার তালিকায় বাংলাদেশি জাহিন

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০  

বিশ্বজুড়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে নেতৃত্বদানকারী ১৭ জন তরুণের তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশি তরুণ জাহিন রাজিন। জাতিসংঘ তাদের নির্বাচিত করেছে। জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে শুক্রবার বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের এ তরুণদের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, প্রযুক্তির কল্যাণে ভবিষ্যৎ বদলে দেওয়ার স্বপ্ন দেখেন ২২ বছর বয়সী জাহিন। 'কোয়ান্টাম পলিকেমিকস বায়োটেকনোলজি' নামের একটি কোম্পানির তিনি প্রতিষ্ঠাতা। এ প্রতিষ্ঠানটি পরিবেশবান্ধব ও সহজে পচনশীল পণ্য তৈরি করে থাকে। মূলত বিভিন্ন কোম্পানি যাতে প্যাকেজিং, খাদ্য সরবরাহ, কৃষিকাজ, টেপটাইলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব বায়োপ্লাস্টিক ব্যবহার করা শুরু করে, সে লক্ষ্যেই পণ্য উৎপাদন করছে কোয়ান্টাম পলিকেমিকস।

জাতিসংঘ বলছে, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে প্রতি দুই বছরের জন্য এমন তরুণ নেতৃত্ব বাছাই করা হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও এ তালিকায় অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, চীন, কলম্বিয়া, যুক্তরাষ্ট্র প্রভৃতি দেশের তরুণরা আছেন।
জাতিসংঘ মহাসচিবের তারুণ্যবিষয়ক দূত জয়াথমা বিক্রমানায়েকে বলেন, একটি টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গড়ার ক্ষেত্রে তারুণ্যের নেতৃত্বদানের বিষয়ে এ তরুণরা একটি স্পষ্ট উদাহরণ স্থাপন করেছেন।

২০১৬ সাল থেকে দুই বছর পরপর এ তালিকা প্রকাশ করে আসছে জাতিসংঘ। এ নিয়ে তৃতীয়বার তরুণ নেতার তালিকা প্রকাশ করল সংস্থাটি। জাহিন এ তালিকায় স্থান পাওয়া দ্বিতীয় তরুণ। এর আগে ২০১৬ সালে বাংলাদেশি সওগাত নাজবিন খান প্রথম এ তালিকায় স্থান করে নেন। জাহিন প্রযুক্তির মাধ্যমে ভবিষ্যৎকে বদলে দেওয়ার স্বপ্ন দেখেন বলে জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে।

জাহিন রাজিন আরও কয়েকটি স্টার্টআপ নিয়ে কাজ করছেন। এর মধ্যে একটি হলো 'হাইড্রোকুয়োপ্লাস'। এ প্রতিষ্ঠানটি নিরাপদ পানির সরবরাহ নিয়ে কাজ করে থাকে। এ ছাড়া 'লিংউইং' নামের একটি শিক্ষামূলক উদ্যোগ আছে জাহিনের। আরেক প্রতিষ্ঠান 'অ্যাকুয়ালিঙ্ক রোবটিকস'-এর মাধ্যমে ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) ডিভাইস ব্যবহার করে বিভিন্ন কোম্পানির অটোমেশনের কাজেও জড়িত আছেন জাহিন রাজিন। তিনি এ প্রতিষ্ঠানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা।