• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

জানুয়ারিতে চালু হচ্ছে দেশের প্রথম এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০১৯  

লালমনিরহাট বিমানবন্দরে দেশের প্রথম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমআরএএইউ) কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।

২০২০ সালের প্রথম জানুয়ারি থেকে এ কার্যক্রম চালু হবে বলে ইউজিসি সূত্র জানিয়েছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় আনন্দের বন্যা বইছে। বিশেষ করে তরুণ সমাজের বেকারত্বের অবসান ঘটবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমআরএএইউ)।

সূত্রে আরো জানা গেছে,বাংলাদেশের প্রথম এই এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া চলতি নভেম্বরেই শুরু হবে। তবে সব কার্যক্রম শুরুতে এখন শুধু প্রয়োজন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চূড়ান্ত অনুমোদন। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত অনুমোদনের চিঠি পাঠানো হবে।

প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়টি রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পুরোনো চারতলা ভবনে কার্যক্রম শুরু করবে। জানুয়ারিতেই পড়তে শুরু করবে। এর পাশাপাশি নিকটবর্তী কয়েকটি ভবন ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি লালমনিরহাটের সাবেক বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস প্রস্তুতের কাজের জন্য স্থানটি পরিদর্শন করেছেন বিমান বাহিনীর প্রধান সহ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।

বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বিমানবন্দরটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়টির একটি শাখা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছেই আশকোনাতে নির্মাণ করা হবে।

দেশে অ্যারোনটিক্যাল ও অ্যারোস্পেস বিদ্যার প্রসারের জন্য মূলত প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বিএসএমআরএএইউ। সেখানে এভিয়েশন ক্ষেত্রে পাইলট, এভিয়েশন বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ার এবং এ সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। অ্যারোস্পেস গবেষণার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়টিতে উড়োজাহাজ নির্মাণ, মেরামত, স্যাটেলাইট নির্মাণ এবং লঞ্চিং বিষয়ে পড়াশোনা করা যাবে।

বিএসএমআরএএইউ প্রাথমিকভাবে তিনটি স্নাতক ও দুটি স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ১০০ থেকে ১৫০ জন শিক্ষার্থী নেবে।

বিএসএমআরএএইউ উপাচার্য ফজলুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টি আন্তর্জাতিক মানের হবে। বেশ কয়েকটি দেশের সহায়তায় এর কার্যক্রম প্রস্তুত করা হচ্ছে।