• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

জাবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন আগামীকাল

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২০  

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচন আগামীকাল সোমবার। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যপন্থী ও উপাচার্যবিরোধী দুই পক্ষই এ নির্বাচনকে দিচ্ছেন বাড়তি গুরুত্ব। সেই লক্ষ্যে দুটি প্যানেল থেকেই নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি। শিক্ষক সমিতির সভাপতি, সহ-সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ, সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদক পদে একজন করে এবং নির্বাহী পরিষদের সদস্য পদে ১০ জনসহ মোট ১৫টি পদে এ নির্বাচন হবে।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ ও উপাচার্যবিরোধী বলে পরিচিত ত্রিদলীয় জোট ‘সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ’ নির্বাচনে পৃথক ২টি প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

উপাচার্যপন্থি পরিষদ থেকে সভাপতি পদে অধ্যাপক এ এ মামুন ও সাধারণ সম্পাদক পদে অধ্যাপক আলমগীর কবির লড়াই করছেন। 
এই প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. মুজিবুর রহমান বলেন, চমৎকার নির্বাচন প্রস্তুতি আমাদের। প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে গেছে। জয়ের ব্যাপারে আমরা দৃঢ় আশাবাদী।

উপাচার্যের বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতির অভিযোগে চলমান রাজনৈতিক সংকট নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু দুর্নীতির কোনো প্রমাণ নেই ও তা মনগড়া। তাই এই ইস্যু এখানে কোনো প্রভাব ফেলবে বলে আমি মনে করি না।

বিপরীত প্যানেলের ‘সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ’ এ মূলত আওয়ামী লীগের একাংশ, বিএনপি ও বামপন্থী শিক্ষকদের জোট। এই জোটে সভাপতি পদে বিএনপিপন্থী শিক্ষক অধ্যাপক সোহেল রানা ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামীপন্থী শিক্ষক অধ্যাপক আমজাদ হোসেন। 
 
অন্যান্যপদসহ ১৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫ জন রয়েছেন নারী প্রার্থী। কিন্তু বিএনপি এই জোটের অংশ হলেও বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের ৮০-৯০ ভোট ব্যাংকের সব ভোটই এই প্যানেলে পড়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের বেশ কয়েকজন গতবছরের শেষের দিকে উপাচার্যের ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং উন্নয়নের পক্ষে’ ব্যানারে যোগ দেন। 

এই প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল জাব্বার হাওলাদার ও সদস্য সচিব বিএনপিপন্থী অধ্যাপক জামাল উদ্দীন রুনু। 

যোগাযোগ করা হলে অধ্যাপক জামাল উদ্দীন রুনু বলেন, ‘আমরা ভাল একটি প্রচারণা চালিয়েছি। জয়ের ব্যাপারে আমরা মোটামুটি আশাবাদী। কারণ আমরা যোগ্য প্রার্থী মনোয়ন দিয়েছি। ফলে আমাদের পক্ষে একটি নীরব বিপ্লব হবে বলে আশা করছি। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষক সংখ্যা ৭ শতাধিক তবে স্টেশনে (বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানরত) আছে সাড়ে পাঁচশ’ শিক্ষক। এই সাড়ে পাঁচশ’ শিক্ষকই ২৭ জানুয়ারি নির্বাচিত করবেন। নির্বাচনে দৃশ্যত উপাচার্যপন্থীরা এগিয়ে থাকলেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা জানাচ্ছেন বিশ্লেষকেরা।