• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০১৯  

চূড়ান্ত হিসাবে গত অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। মার্চে তৈরি খসড়া হিসাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ ধরা হয়েছিল।

মঙ্গলবার প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ ও মাথা পিছু আয় দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯০৯ ডলারে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক সভার পর সাংবাদিকদের সামনে বিবিএসের প্রতিবেদন তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

মাথাপিছু আয় না বাড়ার কারণ তুলে ধরে তিনি বলেন, সম্প্রতি ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকা কিছুটা মান হারানোর কারণে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পায়নি। তবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে টাকার অংকে মাথাপিছু আয় বেড়েছে। টাকার অংকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চূড়ান্ত মাথাপিছু আয় হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার ৪৪০ টাকা, যা খসড়া হিসাবে ১ লাখ ৬০ হাজার ৬০ টাকা ধরা হয়েছিল।

এর আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আর ওই অর্থবছরের মাথাপিছু আয় ছিল এক হাজার ৭৫১ ডলার।

চলতি অর্থবছরে জিডিপি ৮ দশমিক ২ শতাংশ হারে বাড়বে বলে প্রাক্কলন করেছে বিবিএস। তবে বিশ্ব ব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপি ৭ দশমিক ২ শতাংশ হারে বাড়বে।

বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চূড়ান্ত হিসাবে গত অর্থবছরের জিডিপির আকার চলতি মূল্যে দাঁড়িয়েছে ২৫ লাখ ৪২ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা, যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ছিল ২২ লাখ ৫০ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে শিল্প খাতে চূড়ান্ত প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ০৮ শতাংশ, যা তার আগের অর্থবছরে ছিল ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

গত অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাবে কৃষি খাতে ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ ও সেবা খাতে ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা তার আগের অর্থবছরে ছিল যথাক্রমে ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ ও ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।