• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

জেনে নিন ইভিএম এর সঠিক ব্যবহার

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২০  

ইভিএম এর ভোট প্রদানের জন্য সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হয় তা হলো ভোটার সনাক্তকরণ। স্মার্টকার্ড, আঙুলের ছাপ, ভোটার নাম্বার অথবা এনআইডি নাম্বারের মাধ্যমে করা হয় এটি। স্মার্টকার্ডটি মেশিনে প্রবেশ করানোর সাথে সাথে ভোটারের তথ্য দেখানো হয় মনিটরে, এরপর সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কনফার্ম বোতামটি চাপার মাধ্যমে ভোটারকে নিশ্চিত করবেন।

কনফার্ম করার পর একজন ভোটারকে গোপনকক্ষে প্রেরণ করা হয় ভোট প্রদানের জন্য। যতগুলো পদের জন্য ভোট প্রদান করা হবে গোপন কক্ষে ঠিক ততটা আলাদা আলাদা ডিজিটাল ব্যালট ইউনিট রাখা থাকে। এই ইউনিটে প্রার্থীদের প্রতীক বামপাশে আর নাম ডানপাশে থাকে। ভোট প্রদানের জন্য পছন্দের প্রতীকের বামপাশের কালো বোতামটিতে চাপ দিতে হয়, এতে করে প্রতীকটির পাশে বাতি জ্বলে উঠবে। এরপর ডানপাশের সবুজ বোতামটি চাপতে হবে। যদি কেউ ভুল প্রতীকে চাপ দিয়ে থাকে তাহলে সবুজ বোতাম চাপার আগ পর্যন্ত এটা সংশোধন করা যাবে। এটার জন্য ডানপাশের লাল বোতামটি চাপ দিতে হবে, এতে করে আগের কমান্ড টি বাতিল হয়ে যাবে আর আবারও প্রতীক পছন্দ করার সুযোগ আসবে। এরপর সবুজ বোতাম চাপলেই ভোট টি চুড়ান্ত ভাবে নিশ্চিত হবে। এটা চাপ দিতেই ডিজিটাল ব্যালট ইউনিটে চিহ্নিত করা প্রতীক ছাড়া বাকিসব প্রতীক অদৃশ্য হয়ে যাবে। এতে নিশ্চিত হওয়া যাবে ভোটটি সঠিক হয়েছে কিনা।

এখানে আগে থেকেই কোন ভোট ঢুকিয়ে রাখা যায় না। ভোট শুরুর আগেই প্রতিটা ইভিএম মেশিন পরীক্ষা করে নিতে হয়, কন্ট্রোল ইউনিট এর রেজাল্ট ইউনিট টি পরপর চাপ দিলে একে একে সকল প্রার্থীর বিপরীতে কত ভোট মজুদ আছে তা ডিসপ্লেতে দেখা যায়।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইভিএম মেশিন তৈরি করে থাকে। ভারত ইলেকট্রনিকস্‌ লিমিটেড, আকুপোল, এডভান্সড্‌ ভোটিং সল্যুশনস্‌, মাইক্রোভোট, স্মার্টম্যাটিক, ইউনিল্যাক প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানগুলো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন প্রস্তুতকারক হিসেবে খ্যাত।

আমাদের দেশে পাইল্যাব বাংলাদেশ নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইভিএম মেশিন তৈরি করে থাকে।