• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জেল থেকে বেরিয়েই কোটিপতি যাত্রী কল্যাণ মহাসচিব!

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০১৯  

অভাবী থেকে মাত্র এক বছরেই কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনে গেছেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। এক বছরে এতো সম্পদের মালিক তিনি কীভাবে হয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ, টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স জোগার করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এসব বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সিএমপি ও র‌্যাবের কাছে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মোজাম্মেল হক চৌধুরী এক বছরে চট্টগ্রামের চন্দনাইশে বিপুল পরিমাণ জমি ক্রয় করেছেন। এছাড়া ঢাকার সানারপাড়ায় বাড়ি নির্মাণ, বহদ্দারহাটে সিএনজি শোরুমের অংশীদারিত্বও আছে তার।

চলতি বছরের ২৩ জুন চন্দনাইশ উপজেলার গাছবাড়িয়ার হাশিম নগর মৌজায় দেড় কোটি টাকার জমি কেনেন মোজাম্মেল হক চৌধুরী। যার দলিল নং-১৬৬২। ঠিক এক মাস পর ২৩ জুলাই পনের শতক জমি কেনেন (দলিল নং-১৯০৮) যাত্রী কল্যাণ মহাসচিব। ১৬ সেপ্টেম্বর ৩৭.৫০ শতক জমি (দলিল নং-২৪৪১) এবং ২৩ সেপ্টেম্বর ১৩২.৫০ শতাংশ (দলিল নং-২৫৩৮) জমি কেনেন তিনি। এসব জমির বাজারমূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।

আবার, কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাতে ‘সাংবাদিক মোজাম্মেল হক চৌধুরী’ বাংলাদেশ উন্নয়ন সাংবাদিক সমিতি ও ফোন নম্বর দেয়া (০১৫৫৪৩২৪৫০৩)।

জানা গেছে, চাঁদাবাজির অভিযোগে ২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন মোজাম্মেল হক চৌধুরী। সে সময় তার স্ত্রী রিজু আক্তার চৌধুরী গণমাধ্যমকে তার স্বামী অভাবী উল্লেখ করে সরকারের কাছে মুক্তি প্রার্থনা করেন। একজন অভাবী মানুষ এক বছরে এতো সম্পদের মালিক হয় কীভাবে এমন প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

২০১৮ সালের ১০ জুলাই সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যাত্রী কল্যাণ সমিতিকে ভুয়া সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করেন। সংগঠনে সাম্প্রদায়িক শক্তির লোকজন রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

এসব অভিযোগের বিষয়ে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, আমি সাংবাদিকতা করি। জমি কেনার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, আমি একটা জমি কেনা বেচার সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত আছি। তারা কিনেছে। জমিগুলোর দাম ১৫ লাখ টাকার মতো হবে। এটা কোটি টাকাও হবে না। তাহলে জমির রেজিস্ট্রেশনে বেশি দাম দেখালেন কেন - এ প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি তিনি।

রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স পাইয়ে দেয়ার সঙ্গেও জড়িত নয় বলে দাবি করেন মোজাম্মেল হক চৌধুরী।