• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন বিচার চলছে

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০২০  

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন বিচার চলছে দেশটির উচ্চকক্ষ সিনেটে। দেশটিতে তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের কারণে সিনেটে বিচার শুরু হলো।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর একটায় এ বিচারকার্য শুরু হয়েছে। সেখানে সভাপতিত্ব করছেন সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি জন রবার্টস। পুরো প্রক্রিয়াটি চলাকালীন সিনেটররা কোনো আইন ভঙ্গ করেন কি না সেটি দেখবেন তিনি। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিশংসন করা হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত নেবেন সিনেটররা। এছাড়া অভিশংসনের বিচার কিভাবে করা হবে সেটি নির্ধারণ করছেন সিনেটে রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককোনেল এবং ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শ্যুমার।
 
যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার অপব্যবহার, রাষ্ট্রদ্রোহিতা, ঘুষ গ্রহণ, উচ্চ পর্যায়ের অপরাধ ও অশোভন আচরণের অভিযোগে একজন প্রেসিডেন্ট বা সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা বা কর্তকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার রীতি রয়েছে। এর প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগে অভিশংসন প্রস্তাব আনা হয়েছে।

প্রথম অভিযোগে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। অভিযোগটিতে আগামী বছর মার্কিন নির্বাচনের আগে ডেমোক্র্যাটদলীয় প্রেসিডেন্ট পদ প্রার্থী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতি তদন্ত করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনিস্কির ওপর চাপ প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে।

দ্বিতীয় অভিযোগে, নিম্নকক্ষে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিশংসনের অভিযোগ তদন্তে তিনি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাকে সশরীরে উপস্থিত থাকতে আহ্বান করা সত্ত্বেও তিনি তা করেননি। 

সিনেটে বিচারের শুরুতেই বক্তব্য দেন সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা মিচ ম্যাককোনেল। তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষেই কথা বলেন বলে জানা গেছে। এর আগে সোমবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে কিছু আইন ও নীতির কথা বলেন মিচ ম্যাককোনেল। এরপর সিনেটে সেটি পড়ে শোনানো হয়। এরপর এক ঘণ্টার চলমান বিতর্কে অংশ নেন প্রতিনিধি পরিষদের ম্যানেজার অর্থাৎ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাটদের প্রসিকিউশনের নেতৃত্ব দেয়া ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান অ্যাডাম স্কিফ। মিচ ম্যাককোনেলের প্রস্তাবে সংশোধনী আনার দাবি জানান তিনি। 

 
এরপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষে আইনজীবীদের নেতাদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন হোয়াইট হাউজের প্যাট সিপোলোনি। এক ঘণ্টার যুক্তিতে তিনি বলেন, বিচারকাজ পরিচালনার জন্য নতুন নীতি একটি নিরপেক্ষ পদ্ধতি।

অভিশংসনের বিচার প্রক্রিয়ায় চার দিনের মধ্যে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন মিচ ম্যাককোনেল। প্রথম দিনে যুক্তিতর্কের জন্য উভয়পক্ষকে ২৪ ঘণ্টা করে মোট ৪৮ ঘণ্টার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন তিনি। এছাড়া বিচারকার্যে নতুন কোনো সাক্ষীর প্রয়োজন নেই বলেও উল্লেখ করেছেন এই সিনেট নেতা। 

দ্রুত বিচারকাজ শেষ করতেই মূলত এ কথা বলেছেন তিনি। এছাড়া আর কোনো প্রমাণ গ্রহণের ব্যাপারে ভোট চান তিনি। নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়াকে অন্ধকারে ঢেকে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ডেমোক্র্যাট দলের নেতা চাক শ্যুমার। সম্প্রচারের বিষয়টি টেলিভিশনে গভীর রাতে সম্প্রচার করার ফলে মার্কিনিরা এই যুক্তিতর্ক দেখতে পারবেন না।

দুই পক্ষের আইনজীবীর দুই ঘণ্টার যুক্তিতর্ক শেষে সংশোধনীর প্রস্তাব দেবেন চাক শ্যুমার। এরপর দুই পক্ষ আবার তাদের প্রস্তাবের বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করবেন। এরপর সিনেটে দুই পক্ষের প্রস্তাব ভোটে পাঠানো হবে। 
 
রোববার বাদে সপ্তাহে ছয় দিন এই বিচার কাজ চলবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত জানুয়ারির শেষ পর্যন্তও এটি চলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  সিনেটে আসন আছে মোট ১০০টি। এর মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৬৭ জন সিনেটর যে পক্ষে অবস্থান নেবেন অভিশংসন প্রস্তাবের ভবিষ্যত তাই হবে। যদি তারা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন তবে ক্ষমতার ইতি ঘটবে ট্রাম্পের।