• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ডিসেম্বরে অন্তত দু-তিনটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর ২০১৯  

বাংলা পোৗষ এবং মাঘ এই দুই মাসকে বলে শীতকাল। পঞ্জিকায় নির্ধারিত শীতকালের সঙ্গে বাস্তব শীতের সময় এক নাও হতে পারে। এখানে নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারির পর্যন্ত শীতকাল টিকে থাকে। হেমন্তকাল চললেও, এখন মোটামুটি মাত্রার শীত পড়ছে। তাপমাত্রা কমছে প্রতিদিনই। দেশের উত্তরাঞ্চলে বেশ ঠাণ্ডা পড়া শুরু হয়েছে এরইমধ্যে। রাজধানীর আবহাওয়াও জানান দিচ্ছে শীত আসছে।

ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে শীত একেবারে জেঁকে ধরবে, এমনটাই বলছে আবহাওয়া অফিস। তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, ডিসেম্বরে অন্তত দু-তিনটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে দেশের ওপর দিয়ে। চলতি মাসের শেষ ভাগে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে জোড়া মৃদু (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা) কিংবা মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

উত্তরের হিমেল বাতাসের প্রভাবে দু’দিন ধরে তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম। যা দেশের মধ্যে এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রোববার। এদিন সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গত বছরের একইদিনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস সূত্র মতে, রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল দিনাজপুর ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস, নীলফামারীর ডিমলায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১২ ডিগ্রী, সৈয়দপুরে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রী এবং রংপুরে ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

গেল কয়েকদিন ধরে মৌলভীবাজারেও শীত জেঁকে বসেছে। রেকর্ড করা হয়েছে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অধিকাংশ জেলায় এখন তাপমাত্রা ১০-১৫ সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে ১১.৫ থেকে ১৬ সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, চলতি মাসে মৌসুমের স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হবে। দৈনিক গড় বাষ্পীভবন থাকবে ২ দশমিক ৫০ থেকে ৩ দশমিক ৫০ মি.মি.। গড় সূর্য কিরণকাল হবে ৬ দশমিক ৫০ থেকে ৭ দশমিক ৫০ ঘণ্টা। মাস জুড়ে শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদনদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়বে। অন্য অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।