• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

ডোমার সরকারী কলেজের শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

নীলফামারী জেলার ডোমার সরকারী কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক সলেমান আলীর উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে সরকারী কলেজের শিক্ষকরা।  

রবিবার(৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শিক্ষকদের আয়োজনে ডোমার সরকারী কলেজ চত্বরে এই কর্মসুচি পালন করা হয়। এ সময় সাধারন শিক্ষার্থীরাও অংশ নেয়। 

এ সময় বক্তব্য রাখেন  ডোমার সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) রবিউল করিম, বিসিএস সাধারন শিক্ষা সমিতি নীলফামারী শাখার সভাপতি জাহেদুল ইসলাম, নীলফামারী সরকারী কলেজের সহকারী অধ্যাপক(রাষ্ট্রবিজ্ঞান) আনিছুর রহমান, ডোমার সরকারী কলেজের সহকারী অধ্যাপক(পদার্থ) রেজাউল ইসলাম, চিলাহাটি সরকারী কলেজের প্রভাষক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) কানু চন্দ্র রায় প্রমুখ। 

অভিযোগে বলা হয় শিক্ষকের উপর হামলাকারীরা এই কলেজের ছাত্র হলেও তারা সন্ত্রাসী ও টোকাইয়ের ভুমিকা পালন করে।

সুত্র মতে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) একাদশ শ্রেনীর বাংলা ক্লাসের সময় দুই শিক্ষার্থী শফিকুল্লা ও শান্তর মধ্যে বচসা হয়। যা ক্লাস শেষে শান্ত  ক্ষিপ্ত হয়ে শফিকুল্লাকে মারধর করতে থাকে। এটি দেখতে পেয়ে সেখানে ছুটে যান  ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক সলেমান আলী। এ সময় শান্ত ও অপর শিক্ষার্থী সৈকত সহ শিক্ষক সলেমানের উপর চড়াও হয়ে তাকেও মারধর করতে থাকে। এতে ওই শিক্ষক গুরুতর আহত হয়ে ডোমার হাসপাতালে ভর্তি হয়। 

এ ঘটনায় ঘটনার রাতেই শিক্ষক সোলেমান আলী বাদী হয়ে ডোমার থানায় দুই জন শান্ত ও সৈকত নামীয় ও অজ্ঞাত ১৬/১৭ জনের নামে একটি মামলা করে। 

এদিকে শিক্ষকদের মানববন্ধন চলাকালিন সময় পুলিশ ডোমার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম চিকনমাটির দোলাপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ওই কলেচের প্রথম বর্ষের ছাত্র নাজিমুল ইসলামকে(১৭) আটক করে ওই মামলায় আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করে।

তবে ডোমার সরকারী কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির জানান পুলিশ যাকে আটক করেছে সে এ ঘটনার সাক্ষি ছিল। অথচ যে দুই ছাত্র শিক্ষককে মারধর করেছে পুলিশ শান্ত ও সৈকতকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তিনি সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।

এদিকে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ দেড় মাসে কলেজের  বাংলা বিভাগের প্রভাষক সবুজ আহম্মদকে দুই দফায় মারধর করেছিল শান্ত। বিচার না পেয়ে ওই শিক্ষক বদলি নিয়ে  শিক্ষা অধিদপ্তরে পোস্টিং নিয়েছে।

ডোমার সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জানান আমার সকল শিক্ষক এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি করেছি। 
এ ব্যাপারে ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) বিশ্বদেব রায় জানান, নাজিমুল ইসলাম নামে সন্দেহভাজন একজনকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে ,অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।