• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

তিস্তার কিছামত চরগ্রামটির অস্তিত্ব নিয়ে চিন্তিত গ্রামবাসী

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০২০  

বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর তিস্তা পাড়ের মানুষের নতুন দূর্ভোগ নদী ভাঙন। নদী গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ি, আবাদি জমি। উজানের ঢল কমে আসায় বন্যার পর ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তিস্তা অববাহিকার বিভিন্ন এলাকা। এরমধ্যে খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের কিছামত ছাতনাই চর গ্রামটির অস্তিত্ব এবার থাকবে কিনা এ নিয়ে চরম দুশ্চিতায় পড়েছে চরবাসী। মানুষজন গাছ কেটে নদীতে ফেলে ভাঙ্গন রোধে চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হচ্ছে।

বুধবার এলাকাবাসী জানায়, কিছামত চরের ইতোমধ্যে ২৩টি বসতভিটা বিলিন হয়েছে। যে হারে নদী ভাঙ্গছে এতে চরটি সম্পূর্ন নদীগর্ভে বিলিন হবার আশংকা দেখা দিয়েছে। ওই চরে প্রায় তিনশত পরিবারের বসবাস। তারা আরও জানায় কিছামত চর গ্রামটি ভারতের ফোকরতের চরের সঙ্গে একভিুত। তিস্তার নদীর বন্যা ও ভাঙ্গনে ফোকরতের চরটি বিলিন হয়েছে। পাশাপাশি বিলিন হয়েছে ভারতীয় বিএসএফের শিংপাড়া ক্যাপটিও। নদী ভাঙ্গনে এখন কিছামত ছাতনাই গ্রামে এগিয়ে আসছে। ২৩টি বাড়ি ভেঙ্গেছে আরো ৫০ বাড়ি ভাঙ্গনের মুখে চলে এসেছে। 

বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিথন নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হলেও তাদের পক্ষে ভাঙ্গনরোধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় জানান, ঝুকি নিয়ে নৌকা যোগে ওই চর পরিদর্শন করেছি। সেখানে অসংখ্য বড়ি নদী ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে।

অপর দিকে একই উপজেলার ঝুঁনাগাছচাপানী ইউনিয়নের ছাতুনামা ও ভেন্ডাবাড়ি গ্রামে নতুন করে ৬টি বসতঘর বিলিন হয় তিস্তায়। এর আগে একই এলাকায় ৩৭টি বসতঘর বিলিন হয়। এদিকে টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের  চরখড়িবাড়ির ক্রসবাধটির ৫০ মিটার ধ্বসে গেছে। বিলিন হয় ৮টি বসতঘর। 

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, কিছামত ছাতনাই এলাকার ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা বঠিন হয়ে পড়েছে। সেখানে পাথর বা বালিরবস্তা পরিবহন করে নিয়ে যাওয়ার কোন পথ নেই। এ ছাড়া ওই স্থানটি ভারত সীমান্ত। ভারতের দিক হতে ভাঙ্গনটি এগিয়ে আসছে। এতে তাদেরও (ভারত) একটি চর ও বিএসএফ ক্যাম্প বিলিন হয়েছে। 

সূত্র মতে,  বুধবার তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৬০) ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।