• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

তিস্তার দু’পাড়ের ভাঙন রোধে সরকারের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০২০  

লালমনিরহাটের নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বন্যা, নদী ভাঙন ও তিস্তার করাল গ্রাস থেকে তাদের রক্ষা করতে নেয়া হয়েছে মহাপরিকল্পনা।

জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেয়া এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রাথমিকভাবে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। এই উদ্যোগের ফলে মৌসুমি মঙ্গা স্থায়ীভাবে দূরীকরণ, কয়েক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও হাজার হাজার হেক্টর কৃষি জমি উদ্ধার করাও সম্ভব হবে। 

এ প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দারিদ্র্যপীড়িত জেলা লালমনিরহাটকে কয়েক বছরের মধ্যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধশালী জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে এ মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে তিস্তা নদীর দুই পাড় পর্যটন এলাকার রূপ নেবে। এছাড়া তিস্তার করাল গ্রাস থেকে রক্ষা পাবে জেলার অন্তত ৫ লাখ মানুষ। তাদের চিরচেনা বসতভিটা রক্ষা পাবে।

লালমনিরহাট ও তিস্তা ব্যারেজ (ডালিয়া) পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর দফতর সূত্রে জানা গেছে, এ লক্ষ্যে দুই বছর ধরে তিস্তা নদী সার্ভে, পরিকল্পনা, ডিজাইন ও অর্থ ব্যয়ের পরিমাণসহ সব প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এখন বাস্তবায়নের অপেক্ষায় রয়েছে।    

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, চায়না পাওয়ার কোম্পানি দুই বছর ধরে তিস্তা পাড়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে নকশা ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ করেছে। মহাপকিল্পনার আওতায় তিস্তা নদীর দুই পাড়ে ২২০ কিলোমিটার উঁচু গাইড বাঁধ নির্মাণ করা হবে। নদী খনন করে গভীরতা বৃদ্ধিসহ তিস্তার দুই পাড়ে গড়ে তোলা হবে হোটেল-রেস্টুরেন্ট। 

এ প্রসঙ্গে লালমনিরহাটের ডিসি মো. আবু জাফর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে। এটি বাস্তবায়িত হলে শিক্ষা ও সম্পদে সমৃদ্ধশালী হবে লালমনিরহাট।

এ ব্যাপারে স্থানীয়রা জানায়, নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের যে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার, তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। তিস্তার পাড়ের মানুষের জন্য তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সবসময় কিছু করার চেষ্টা করছেন। বন্যায় আমাদের যথেষ্ট ত্রাণ দিয়েছেন। সবসময় স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যেমে খোঁজখবর রেখেছেন। বন্যায় আমাদের কষ্ট দেখে তিনি এমন মহাপরিকল্পনা নিয়েছেন, যা সত্যিই আমাদের জন্য অনেক সৌভাগ্যের। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফলে আমরা অন্তত নিশ্চিতে বাড়ি গড়ে তুলে থাকতে পারব, বাড়ি ভাঙনের শিকার হবেনা।

প্রসঙ্গত, তিস্তা নদীর তলদেশে যুগ যুগ ধরে নদী খনন না করায় পলি ও বালু জমে ভরাট হয়ে গেছে। ফলে উজানের পাহাড়ি ঢল ও সামান্য বৃষ্টিতে পানি প্রবাহের পথ না পেয়ে নদীর দুকূল উপচে বন্যা ও নদী ভাঙনের কবলে পড়ছে। এতে সব কিছু হারিয়ে অসহায় জীবনযাপন করতে হয় এখানকার লাখ লাখ মানুষকে। প্রতি বছর তিস্তার করাল গ্রাস এখানকার অর্থনৈতিক অবস্থাকে দুর্বল করে ফেলছে।