• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

তিস্তার শাখা নদী পারাপারে দুর্ভোগ

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০১৮  

নদী খনন, ড্রেজিং, নদী শাসন ও সংরক্ষণের অভাবে তিস্তার গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে একাধিক শাখা নদীতে পরিণত হয়েছে।

শাখা নদীগুলো নৌকা চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় পারাপারে চরম দুর্ভোগে পড়েছে তিস্তার দুই পারের মানুষজন। ধু-ধু বালুচর ও একাধিক শাখা নদীর হাঁটু পানি পাড়ি দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের। অনেক শাখা নদীর উপর নড়বড়ে বাঁশের ও কাঁঠের সাঁকো থাকলেও তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা, তারাপুর, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউপির উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তানদী দীর্ঘদিনেও খনন, ড্রেজিং, শাসন ও সংরক্ষণ না করায় উজান থেকে নেমে আসা পলি জমে বালুচরে পরিণত হয়েছে। নদী ভরাট হওয়ায় গতিপথ পরিবর্তন হয়ে একাধিক শাখানদী জন্ম নিয়েছে।

প্রতিদিন হাজারও মানুষজন ও শিক্ষার্থী কুড়িগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা হতে লালচামার, পাচঁপীর, হরিপুর, বেলকা, রামডাকুয়া ও চরখোদ্দা রুট হয়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলায় পড়া লেখা এবং কর্মসংস্থানের জন্য যাওয়া আসা করতে হচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় প্রতিনিয়ত অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদেরকে।

নদী ভরাট ও গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় হাজার নৌ-শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। এখন তিস্তায় চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে ঘোড়ার গাড়ি। মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলে চড়েও অনেকে পারাপার হচ্ছে।

উপজেলার তালুক বেলকা চরের স্মৃতি বেগম বলেন, আমি গাইবান্ধা সরকারি কলেজের একজন শিক্ষার্থী। সপ্তাহে ২ হতে ৩ দিন আমাকে কলেজে যেতে হয়। বাড়ি থেকে উপজেলায় পৌছঁতে ২টি শাখা নদী পায়ে হেটে এবং একটি শাখানদী বাশেঁর সাঁকো পার হতে হয়।

উপজেলার জরমনদী গ্রামের চাকরিজীবী সালাম মিয়া বলেন, প্রতিদিন আমাকে তিস্তার ৮ হতে ৯টি শাখা নদী পার হয়ে কুড়িগ্রামের উলিপুর শিক্ষা অফিসে যেতে হয়।

হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম বলেন, নদী খনন, ড্রেজিং করা একান্ত প্রয়োজন। তা না হলে অল্প সময়ের মধ্যে উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর চরাঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হবে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, নদী খনন, ড্রেজিং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। এটা উপর মহলের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। তবে নদী সংরক্ষণে গাইবান্ধার জন্য একটি বরাদ্দ পাস হয়েছে।