• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

তীরে এসে তরী ডুবল যুবাদের

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) আয়োজিত যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে ব্যর্থ হলো  বাংলাদেশের যুবারা। জয়ের একেবারে কাছে এসেও শেষ পর্যন্ত মাত্র ৫ রানের হার মেনে নিতে হলো তাদের। ফলে রানার্সআপ হয়েই শান্ত থাকতে হলো টাইগার জুনিয়রদের।  

শনিবার শ্রীলংকার প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামে ভারত। কিন্তু বাংলাদেশি যুবাদের বোলিংয়ে দিশেহারা হয়ে মাত্র ১০৬ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারতের যুবারা। এ রান তাড়া করতে গিয়ে মাত্র ১০১ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশের যুবারা। 

শুরুতে বাংলাদেশের যুবাদের অবস্থা অনেকটা করুণ ছিল। ভারতীয় বোলারদের চাপে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আকবর আলীরা।

সাকিব-মৃত্যুঞ্জয়-রাকিবুল-শাহীন ও শামীমের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৫৩ রানে ভারতের পাঁচ উইকেটের পতন ঘটেছিল। ঠিক এর থেকেও কম রানে টাইগার যুবারা হারায় পাঁচ উইকেট। ৪০ রান করতেই যুবাদের টপ অর্ডারে ধস নামে। 

মাত্র ১৬ রানে যুবারা হারায় ৪ উইকেট। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেন ইমন উইকেটে কেবল আসলেন আর গেলেন। কোনো রান না করেই তানজিদ ফিরে যান আকাশ সিংজের বলে এলবিডাব্লিওর শিকার হয়ে। আর কেবল ৫ রান করে বরুন লাভান্ডের বলে বিদ্যাধর পাতিলের কাছে ক্যাচ তুলে দেন ইমন। 

তিনে-চারে ও পাঁচে ব্যাট করতে এসে জয়, তৌহিদ ও শাহাদাত কিছুই করতে পারেননি। ভারতের যুবাদের বোলিং তোপে কেবল আসলেন আর গেলেন। ধরে খেলছিলেন সাকিব ও রাকিবুল। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হয় নি। সাকিব ৩৬ বলে ১২ রান করে আউট হলে তখনই মূলত ম্যাচ শেষ হয়ে যায়। তাকে ফেরান স্পিনার অথর্ব। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামেন শাহিন আলম। তিনি কোন রান না করেই আউট হলে ভারত জয়ের আনন্দে মেতে উঠে। 

এর আগে সকাল ১০টায় শুরু হওয়া ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নামে ভারত। সাকিব-মৃত্যুঞ্জয়-রাকিবুল ও শামীমের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৩২.৪ ওভারে ১০৬ রান তুলতে সক্ষম হয় ধ্রুভ-জুরেলরা। 

বাংলাদেশের শামিম হোসেন ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী তিনটি করে উইকেট শিকার করেন।