• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

তৃণমূল কমিটি নিয়ে লেজেগোবরে অবস্থায় বিএনপি

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০১৯  

তৃণমূল কমিটি পুনর্গঠন নিয়ে একেবারে লেজেগোবরে অবস্থায় পড়েছে বিএনপি। তৃণমূল নেতাদের মতামত উপেক্ষা করে কয়েকটি জেলায় কেন্দ্র থেকে নতুন কমিটি চাপিয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে মাঠ পর্যায়ে।

কোথাও কোথাও সদস্য সচিব যাকে করা হয়েছে তাকে স্থানীয় নেতারা চেনেন না। অধিকাংশ জেলা কমিটিতে সিনিয়র নেতাদের রাখা হয়েছে জুনিয়র নেতাদের নিচে। যথাযথ মূল্যায়ন না পেয়ে অনেকে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন, কেউ কেউ বিদেশেও পাড়ি দিয়েছেন। এ নিয়ে নানা অস্থিরতা চলছে দলটির ভেতরে।

আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবরা পরবর্তী পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হতে পারবেন না- এমন বিধান করেছে হাইকমান্ড। কিন্তু এক্ষেত্রে কেন্দ্র থেকে দুই ধরনের নির্দেশনা যাচ্ছে। তবে কোনো কোনো জেলা কমিটি গঠনে বলা হয়েছে শুধু আহ্বায়ক-পরবর্তী পূর্ণাঙ্গ কমিটির শীর্ষ পদে থাকতে পারবেন না, কিন্তু সদস্য সচিব পারবেন। আবার কোথাও বলা হয়েছে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব উভয়েই প্রার্থী হতে পারবেন না।

সব মিলিয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ। তারা মনে করেন, শুধু পকেট কমিটি করার জন্য দুই জেলার জন্য দুই ধরনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কেন্দ্র থেকে ব্যাখ্যা দেয়া উচিত। না হলে তৃণমূলে ভুল বার্তা যাবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে বলেন, দল পুনর্গঠন একটি চলমান প্রক্রিয়া। মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা কমিটির মধ্যে অধিকাংশ কমিটি ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা কমিটি গঠনের কাজ চলছে। দু-একটি অভিযোগ থাকতেই পারে। তবে যেসব জেলার কমিটি হয়েছে সেখানে দলের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দলের মোট ৮২টি সাংগঠনিক জেলা শাখার মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ ৩৩ জেলার নতুন কমিটি ইতিমধ্যে গঠন করেছে বিএনপি। 

তৃণমূলের একাধিক নেতা জানান, দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জেলা কমিটি পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এজন্য মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি করা হচ্ছে। প্রথমে আহ্বায়ক কমিটি করা হচ্ছে, তারা ৩ মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলার সব পর্যায়ের কমিটি করবেন।

পরে হবে জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি। আর জেলার নতুন কমিটি গঠনে সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্তদের বেশির ভাগ নেতাই তাদের নিজেদের মতো করে কমিটি করছেন। অতীতে জেলা কমিটি করার ক্ষেত্রে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে অন্তত দশবার বৈঠক করে তাদের মতামত নিয়ে কমিটি করা হতো।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলায় দলের কেন্দ্রীয় যারা নেতা থাকেন তাদেরও মতামত নেয়া হতো। কিন্তু এখন দায়িত্বপ্রাপ্তদের অনেকেই তা করছেন না। যে কারণে জেলা কমিটি পুনর্গঠনে তৃণমূল নেতাদের যথাযথ মূল্যায়ন না করার অভিযোগ উঠছে।