• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

দলের দিকে নজর নেই বিএনপি নেতাদের!

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

এ অভ্যাস যেন বিএনপির অস্থিগত। আর দিনকেদিন দলীয় রাজনীতির বদলে ‘অমুক ভাই, তমুক ভাই’কে নিয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দের কর্মতৎপরতার তাই শেষ নেই। এতে বিব্রত বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। তাদের ভাষ্য, এভাবে চললে বিএনপির দলীয় রাজনীতি বলে আর কিছু থাকবে না। সবই ভাইপন্থীদের দখলে যাবে। ফলে ক্ষয়ে ক্ষয়ে নিঃশেষ হয়ে যাবে জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত এই রাজনৈতিক দলটি।

দায়িত্বশীল সূত্রের তথ্যমতে, বিএনপির রাজনীতিতে এখন ভাইপন্থীদের দৌরাত্ম চরমে। আর এই পন্থী প্রথা চালু করেন অবিভক্ত ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক দুই নেতা মির্জা আব্বাস ও প্রয়াত নেতা সাদেক হোসেন খোকা। তাদের বপন করা বীজের কারণেই বর্তমানে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির নেতাকর্মীরা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত। শুধু বিভক্তই নয়, তাদের ভেতর অভ্যন্তরীণ কোন্দলও চরমে। পাশাপাশি রয়েছে বহিরাগতদের নেতৃত্বে বসানো এবং জবাবদিহিতা না থাকার সংস্কৃতি।

এসব কারণে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আব্দুল কাইয়ুম, সদ্য প্রয়াত আহসানুল্লাহ এবং আব্দুল আউয়াল মিন্টু পন্থীতে বিভক্ত। অপরদিকে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতাকর্মীরা প্রধানত মির্জা আব্বাস, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, ইশরাক হোসেন ও আবুল বাশার পন্থীতে বিভক্ত।

সূত্রটি আরো জানায়, ভাইপন্থীদের এই ব্যাপারটা এখন রীতিমতো দলীয় ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। তাই সাদেক হোসেন খোকা কিংবা মির্জা আব্বাসের পর কমিটির নেতৃত্বে যারাই এসেছেন, তারা প্রত্যেকেই নিজের অনুসারী সৃষ্টির মাধ্যমে ‘ভাইপন্থী প্রথার রাজনীতি’ বহাল রেখেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, বিএনপিতে ভাইপন্থীদের কারণে কোনো অনুষ্ঠান বা কর্মসূচি ঠিকভাবে পালন করা যায় না। কারণ, সেখানে দলীয় স্লোগান বাদ দিয়ে সবাই ভাইদের নামে স্লোগান দিতে থাকে। এমনকি দলের প্রতিষ্ঠাতা কিংবা চেয়ারপারসনের নাম বাদ দিয়ে তারা ‘অমুক ভাই, তমুক ভাই’ বলতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না। বিষয়টি সত্যিই লজ্জাজনক।

এ বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দের কাছে এখন আর দলের প্রতিষ্ঠাতা অথবা চেয়ারপারসনের কোন মূল্য নেই। চাটুকারিতার অংশ হিসেবে তারা দলীয় নীতি-আদর্শ বিসর্জন দিয়ে ‘ভাই নীতিতে’ চলছেন। যা একটি রাজনৈতিক দলের জন্য খুবই অ্যালার্মিং। এ থেকে সহজেই ধারণা করা যায়, বিএনপির অনাগত ভবিষ্যৎ কেমন হবে, কেমন হবে তাদের পথচলা।