• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

দিনাজপুর টেক্সটাইল মিলের শ্রমিকরা প্রত্যাশিত বকেয়া হাতে পাচ্ছে আজ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০১৯  

বহু দিনের প্রত্যাশিত দিনাজপুর টেক্সটাইল মিল হতে বকেয়া পাওনা আজ হাতে পেতে যাচ্ছে শ্রমিকরা। দুঃসময়ে এ টাকাই তাদের পরিবারে অনেক সহযোগীতা করবে।

জানা গেছে, দিনাজপুরের একমাত্র ঐতিহ্যবাহী ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান দিনাজপুর টেক্সটাইল মিলস্ স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু ভারত থেকে সাতটি মিল দান হিসেবে পান তদমধ্যে দিনাজপুর মিল একটি, ১৯৭৫ সালের ১লা মার্চ ৩৬ একর ৫৪ শতক জমির উপর মিলটি স্থাপিত হয়। মিলের ভিক্তি প্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন আওয়ামীলীগের প্রয়াত বস্ত্র মন্ত্রী কামরুজ্জামান। প্রাথমিক ভাবে মিলটি ২৫ হাজার ভারতীয় টাকা দিয়ে মিলটি চালু হয়। ১৯৮০ ইং সালের ১৬ জুন মিলটি বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদন শুরু হয়।  

শ্রমিক কর্মচারী-কর্মকর্তা মিলে সারা দেশের পনের শত মানুষ কাজ পায়। মাথা ভারী প্রশাসন আর আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে মিলটি ভাল মানের সুতা উৎপাদন হওয়ার পরেও রাষ্ট্রীয় ভাবে চালাতে ব্যর্থ হয় তৎকালীন সরকার। পরবর্তীতে সার্ভিস চার্জের মাধ্যমে ১৫ বছর চালানোর পর বিগত ২০০৮ সালের ৩রা মার্চ মিলটি ৫ কোটি টাকা লোকসান দেখিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। কর্ম হারায় ১৫ শত মানুষ। তাদের সেচ্ছায় অবসর গ্রহনের নামে কর্মচ্যুত করা হয়।

তাদের চাকুরী থেকে বিদায় বেলায় অনেক পাওনাদি কেটে রাখা হয়, তার মধ্যে কিছু পেলেও আরও পাওনা রয়েছে। এই পাওনাদি পাওয়ার অপেক্ষায় থেকে অনেক শ্রমিক রোগে শোকে মৃত্যু বরণ করেন। গত ৬ মাস পূর্বে সুন্দরবন ইউ,পি মাঠে বিভিন্ন এলাকার শতাধিক পাওনাদার শ্রমিক একত্রিত হয়ে পাওনা আদায়ের উপর তদারকির জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি কারা হয়। তারা হলেন, হামিদুর ইসলাম আহবায়ক, দয়ারাম রায় যুগ্ন-আহবায়ক, মোঃ আঃ আজিজ, নন্দ কুমার রায়, সুবাস কুন্ড সদস্য।

কমিটির লোকজন ২ মাস পূর্বে মিলের প্রধান নির্বাহীর নিকট পাওনা আদায়ের আবেদন পত্রে মাননীয় হুইপ ইকবালুর রহিম এমপির সুপারিশ নিয়ে মিল কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়। অপর দিকে ইউ,পি চেয়ারম্যান অশোক কুমার রায় ও মিলের প্রধান নির্বাহী এমদাদুল হকের সঙ্গে ইউ,পি মিলতায়নে শ্রমিকদের বকেয়া পাওনাদির বিষয়ে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

সে সভায় মিল নির্বাহী এমদাদুল হক অতি দ্রুততার সহিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি বি.টি.এম.সিতে পাঠাবেন। সে মতে মিল নির্বাহী কাজ করেন। গত ১৩ অক্টোবর মিলস্ নির্বাহী পাওনাদার কমিটির যুগ্ন-আহবায়ক দয়ারাম রায় কে অফিসে ডেকে পাওনাদির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে প্রাপ্ত পত্র থেকে জানান, মঞ্জুরী কমিশনের শুধু বকেয়া বিল ২৮৭ জনের পাওনা ৩ লক্ষাধিক টাকা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাশ হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ে চেক বি.টি.এম.সিতে হস্তান্তরিত হলেই দিনাজপুর টেক্সটাইল মিলের পাওনাদি পরিশোধ করা সম্ভব হবে।

এরপর পাওনাদার শ্রমিকরা, তাদের জন্য হুইপ ইকবালুর রহিম এর সুপারিশ কাজে আসায় তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শ্রমিকবৃন্দ। অপর দিকে দুস্থ শ্রমিরগণ অর্থ মন্ত্রণালয় ও বি.টি.এম.সি কর্তৃপক্ষের কাছে অসহায় শ্রমিকদের আর্তনাতে এগিয়ে আসার জন্য সবিনয় অনুরোধ জানিয়েছেন। মিলটি চালু করার জন্য সরকার বাহাদুরের কাছে শ্রমিক সাধারণ ও দিনাজপুরবাসী আহবান জানিয়েছেন।