• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

দিনাজপুরে ওয়াকিল হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসি

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

দিনাজপুরের বিরামপুরে ওয়াকিল উদ্দীন মণ্ডল হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসি ও একজনের যাবজ্জীবন দিয়েছে আদালত। মামলায় অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় একজনকে খালাস দিয়েছেন বিচারক। মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ মো. আনোয়ারুল হক এ রায় দেন। 

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, জেলার বিরামপুর উপজেলার খয়েরবাড়ী (মির্জাপুর) গ্রামের সাহেব উদ্দীনের ছেলে মো. মোসলেম উদ্দিন, একই এলাকার মো. জাফর উদ্দিনের দুই ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে বুলবুল ও মো. মামুনুর রশিদ ওরফে মিলন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সোহেল রানা ওরফে বাবু একই এলাকার মো. মজিবর রহমানের ছেলে। বেকসুর খালাস পাওয়া মোছা. মেহেরুন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. মোসলেম উদ্দিনের স্ত্রী। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, বিরামপুর উপজেলার মির্জাপুর খয়েরবাড়ী মৌজার এক দশমিক ৩৩ শতকের একটি পুকুর দীর্ঘদিন ধরে ওয়াকিল উদ্দীন মণ্ডলের ভগ্নিপতি মনজের আলীর সঙ্গে আসামিদের বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন ২০১১ সালের ২৫ জুন সকাল সাড়ে ৭টায় আসামিরা ওই পুকুরে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে। এ সময় ওয়াকিল উদ্দীন মণ্ডল আসামিদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা রামদা, কুড়াল, হাসুয়া ও ছুরি দিয়ে ওয়াকিল উদ্দীন মণ্ডলকে কুপিয়ে হত্যা করেন। 

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোছা. বিলকিছ বানু পরদিন ২৬ জুন বিরামপুর থানায় আটজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরবর্তীতে বিরামপুর থানার এসআই মো. আব্দুর রাজ্জাক মামলাটি তদন্ত করে আদালতে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন সময়ে পাঁচ নম্বর আসামি মো. ময়েজ উদ্দীন মারা গেলে বিচারক তার নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেন। 

বাদী বিলকিস বেগম নয় বছর পর এই রায় পাওয়ায় পর সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এই বিচাকের মাধ্যমে আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। 

মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. আজিজুর রহমান ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট মাজহারুল ইসলাম সরকার।