• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

দিনাজপুরে দেয়ালচাপা পড়ে একই পরিবারের চারজন নিহত

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০  

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে মাটির দেয়াল নরম হয়ে যাওয়ায় নতুন একটি ঘর বানানোর পরিকল্পনা করেন স্বপন আলী। ঘর বানাতে নতুন টিন আর বাঁশও আনা হয়। কিন্তু স্বপনের স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। নতুন ঘরে ওঠার আগে কবরেই স্থায়ী হলো পরিবারের চার সদস্যের।

হৃদয়বিদারক এ ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার পলাশবাড়ি ইউপির ঝাউপাড়া গ্রামে। শনিবার রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় দেয়ালচাপা পড়ে স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের চারজন নিহত হন।

নিহতরা হলেন- স্বপন, স্বপনের স্ত্রী ফারজানা বেগম ও তাদের দুই ছেলে হোসাইন এবং হাসিবুর রহমান। স্বপন পেশায় ভ্যানচালক। রোববার সকালে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এদিকে সংবাদটি ছড়িয়ে পড়লে নিহতদের বাড়িতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন শত মানুষ। একই পরিবারের চারজনের লাশ একসঙ্গে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে অনেকে।

জানা গেছে, ২০০২ সালে স্বপন আলীর সঙ্গে ফারজানার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন স্বপন। ভ্যান চালিয়ে স্ত্রী আর দুই সন্তান নিয়ে দিন কাটছিল তার। কিন্তু এক রাতেই নিঃশেষ হয়ে গেল পুরো পরিবার।

শনিবার রাতে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন স্বপন আলী। বজ্রপাতের শব্দ আর মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় একটু তাড়াতাড়িই ঘুমিয়ে পড়েন তারা। এ ঘুমই চিরঘুম হলো তাদের। রাতের কোনো এক সময় ঘরের দেয়ালচাপায় চারজন নিহত হন।

ঝাউপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মনজুরুল ইসলাম মনজু বলেন, সকাল হলেও ঘুম থেকে না উঠায় প্রতিবেশীরা স্বপনের পরিবারের লোকজনকে তুলতে যান। অনেক ডাকাডাকি করেও তাদের কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে ঘরের পেছনে গিয়ে দেখতে পান স্বপন, স্ত্রী ফারজানা ও দুই শিশুপুত্র নিজ ঘরে মাটির দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে। দ্রুত লোকজন মাটি সরিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। তারা একই বিছানায় শুয়ে ছিলেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পার্বতীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিক ও ইউএনও শাহনাজ মিথুন মুন্নী।