• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

দিনাজপুরে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ড্রাগন ফল

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারি ২০২০  

দিনাজপুরের বিরামপুর সীমান্ত এলাকার কোলঘেঁষে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ড্রাগন ফলের। উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের বাসিন্দা এ এইচ এম কামরুজ্জামানের শখের বশে গড়ে তোলেন এই বাগান। বর্তমানে এই বাগানে ড্রাগন গাছের সংখ্যা ১২০০ মত । শুধু ড্রাগনই নয়, এতে আরো রয়েছে মালটা, কেরেলা ও ভিয়েতনাম নারকেল, সৌদি খেজুর, বিদেশি কলা, আমসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছগাছালি। 

একশত পঞ্চাশ বিঘা জমির ওপর গড়ে ওঠা এই প্রকল্পের এক পাশে রয়েছে গরুর খামার। তাতে গরু রয়েছে ৪০টি। ভেতরে ৪০ একর জায়গাজুড়ে রয়েছে পাঁচটি পুকুর। পুকুরে রয়েছে জাপানি, রুই, কাতলাসহ বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি প্রজাতির মাছ। বিশাল এই প্রকল্পটির নাম দেয়া হয়েছে ইজি এগ্রো ফার্ম। বছর তিনেক আগে শুরু হওয়া এই খামারে বর্তমানের ২৫ জনের মতো কৃষক প্রতিদিন কাজ করছেন। 

 এ বিষয়ে খামারের ম্যানেজার সাইফুর রহমান বলেন, নতুন এই ফল নিয়ে মানুষের বেশ আগ্রহ রয়েছে। ঢাকার পাশাপাশি স্থানীয় বাজারেও এর চাহিদা রয়েছে। খামারে স্বত্বাধিকারী কামরুজ্জামান ব্যবসার প্রয়োজনে প্রায়ই খামারের বাইরে থাকেন। তবে স্থানীয় উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় ও পরামর্শে বিভিন্ন রোগবালাই দমন কীটনাশক ব্যবহার করে চাষ কার্যক্রম চলছে বলে জানান। 

কীভাবে এই নতুন উদ্যোগের ধারণা পেলেন? জানতে চাইলে কামরুজ্জামান বলেন, ব্যবসার সুবাদে আমাকে বিভিন্ন দেশে যাতায়াত করতে হয়। তাই, বিদেশে যা ভালো লাগে তাই সঙ্গে নিয়ে আসি এবং দেশে ব্যবহারের চেষ্টা করি। এভাবেই শখের বসে গড়ে ওঠা ড্রাগন চাষ হয়ে উঠেছে বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিকছন চন্দ্র পাল বলেনন, ড্রাগন অত্যন্ত লাভজনক একটি ফল। এর একটি পোলে ২-৩টি গাছ ঝাঁকড়া হয়ে বেড়ে ওঠে। একটি গাছে একবারে প্রায় ২০০-৩০০টি ফল পাওয়া যায়। এটি অত্যন্ত সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর ফল। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন, বিরামপুরে কামরুজ্জামানের এমন একটি উদ্যোগ দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। তার এই কর্মকাণ্ডে এলাকার মানুষ অনুপ্রাণিত হবে। 

বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, শিক্ষা অফিসারসহ উপজেলা প্রশাসনের একটি টিম বাগানটি পরিদর্শন করেছেন। এ ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে খবর পেয়ে অনেকেই এখানে এসে এর নয়নাভিরাম সৌন্দর্য উপভোগ করেন। সঠিক পরিচর্যা ও প্রশাসনিক সহায়তা পেলে ভবিষ্যতে এটি একটি পিকনিক স্পট হিসেবেও গড়ে তোলা সম্ভব বলে মনে করেন কর্তৃপক্ষ।