• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান আরো সক্রিয় হচ্ছে- দুদক চেয়ারম্যান

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১০ জুলাই ২০২০  

করোনার কারণে কমিশনের নিয়মিত অভিযান স্থগিত রাখা হলেও ত্রাণ এবং স্বাস্থ্যখাতে চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান আরো সক্রিয় করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেন, জনগণের কল্যাণেই এসব অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

শুক্রবার দুদকের এক বছর মেয়াদি কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রতিবেদনের ওপর পূর্ণাঙ্গ কমিশনের এক ভার্চুয়াল সভায় এ কথা বলেন তিনি।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদকের ১৮ জনের বেশি কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত। দুইজন প্রতিশ্রুতিশীল কর্মকর্তা মারা গেছেন। এরমধ্যেও আপনারা মামলা করছেন, অপরাধীদের গ্রেফতার, অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের তলব এবং জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। অর্থাৎ দুর্নীতির অভিযাগের অনুসন্ধান, তদন্ত, প্রসিকিউশন, প্রতিরোধসহ সব ধরনের দাফতরিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এটা আপনাদের কৃতিত্ব। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রয়োজনে বাসায় বসে অনুসন্ধান ও তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই নথির মুভমেন্ট রেজিস্ট্রার অনুসরণ করতে হবে এবং তা কমিশন সচিবকে অবহিত করতে হবে।

কমিশনের মানিলন্ডারিং অনুবিভাগের কার্যক্রমের অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৯ সালে কমিশন ১১টি মানিলন্ডারিং মামলার ১১টিতেই অপরাধীদের সাজা হয়েছে। ২০১৮ সালেও শতভাগ মামলায় সাজা হয়েছিল। এককভাবে যখন দুদক মানিলন্ডারিং মামলা করতো তখন অসংখ্য মামলা দায়ের হয়েছে। অসংখ্য অপরাধীর শাস্তি হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, দেশের অর্থপাচার বন্ধে দ্রুত সময়ে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করে অপরাধলব্ধ সম্পদ উদ্ধার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিএফআইউ, সিআইডি, জাতীয় রাজস্ববোর্ডসহ অন্যান্য সংস্থার মধ্যে নিবিড় সমন্বয় থাকতে হবে। কীভাবে এসব সংস্থার সঙ্গে কার্যকর সমন্বয় করা যায়, তা কমিশনের কৌশলপত্রের আলোকে বাস্তবায়ন করতে হবে।

ভার্চুয়াল সভায় দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলপত্র বাস্তবায়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন ফোকাল পয়েন্টের কর্মকর্তারা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এসব কর্মকর্তারা স্ব-স্ব বিভাগের একটি দুর্নীতির খবরও কমিশনকে জানাননি। তাদেরও জবাদিহি দরকার। সৎ, স্বচ্ছ ও দৃঢ়চেতা কর্মকর্তাদের ফোকাল পয়েন্টে নিয়োগের বিষয়ে তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত, মহাপরিচালক আ ন ম আল ফিরোজ, মো. মফিজুর রহমান ভূঞা, মো. জহির রায়হান, মো. রেজানুর রহমান, সাঈদ মাহবুব খান, মো. জাকির হোসেন প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন দুদকের আইসিটি ও প্রশিক্ষণ অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল।