• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

দুঃসময়েও পোশাক খাতে ফিরছে স্বস্তি

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ আগস্ট ২০২০  

কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বের নামি-দামি ব্র্যান্ডগুলো ক্রয় আদেশ বাতিল, স্থগিত বা কমিয়ে দিয়েছিল। এতে বিরূপ প্রভাব পড়ে বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাক শিল্পের ওপর। চলতি বছরের এপ্রিলে পোশাক পণ্যের রফতানির পরিমাণ গিয়ে ঠেকে তলানিতে। এর পরিমাণ ছিল মাত্র ৩৭ কোটি মার্কিন ডলার। যা ছিল গেল কয়েক দশকের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। পরের দুই মাস মে ও জুনে রফতানি আয় ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। 

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য মতে, চলতি বছরের মার্চে ২২৫ কোটি মার্কিন ডলারের পোশাক পণ্য রফতানি হয়, যা আগের বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ কম। এপ্রিলে রফতানি হয় ৩৭ কোটি মার্কিন ডলার। মে মাসে এই আয় বেড়ে দাঁড়ায় ১২৩ কোটি মার্কিন ডলারে।

চলতি বছরের জুনে এই আয় বেড়ে ২২৪ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবু এখনো পোশাক রফতানি পূর্বের বছরের চেয়ে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধিতে রয়েছে। জুন মাসে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ শতংশের মতো। জুলাই মাসে তৈরি পোশাক শিল্প থেকে ৩২৪ কোটি ৪৯ লাখ ডলার আয় করে বাংলাদেশ।

এছাড়া ২০১৯-২০ অর্থবছরের ২ হাজার ৭৯৪ কোটি ৯১ লাখ (২৭ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন) ডলারের তৈরি পোশাক পণ্য রফতানি করেছে।  যা দেশের মোট রফতানি আয়ের ৮৪ দশমিক ২০ শতাংশ। 

বিজিএমইএর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, করোনার কারণে স্থগিত রফতানি আদেশের অন্তত ৮০ শতাংশই ফিরে এসেছে। নতুন ক্রয় আদেশও আসছে নতুন নতুন দেশ থেকে। যেমন- চীন ও তুরস্ক থেকে করোনার কারণে সরে যাওয়া ক্রয় আদেশের একটি বড় অংশ আসছে বাংলাদেশে। 

সামনে বড়দিন ও খ্রিস্ট নববর্ষ উপলক্ষে পশ্চিমা বিশ্বে পোশাকের চাহিদা বেশি থাকে। তাই তৈরি পোশাক খাতে আরো নতুন ক্রয় আদেশ আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পোশাক খাত সংশ্লিষ্টরা। তবে আস্তে আস্তে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সরকার ঘোষিত প্রণোদনা তহবিলও যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে। 

এ বিষয়ে  বিজিএমইএ এর সহ-সভাপতি আরশাদ জামাল দিপু বলেন, রিসিডিউলড অর্ডারগুলোই দিচ্ছি। নতুন অর্ডার আসছে, তবে তুলনায় খুবই কম। সার্বিক পরিস্থিতি বোঝার জন্য সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে-যোগ করেন তিনি।

বিকেএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আগের কিছু অর্ডারের পণ্য আমরা মে-জুনে রফতানি করেছি। তবে আগামী দুই থেকে তিন মাস যে কাজ করব সে তুলনায় অর্ডার আসেনি। মে-জুন-জুলাইয়ে রফতানি বাড়লেও আগস্ট-সেপ্টেম্বরে কম হবে। অক্টোবর-নভেম্বরে নতুন করে অর্ডার আসবে বলে মনে করছি। তবে এ খাত ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।