• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

ধন্যবাদ আবেদ ভাই- নীলফামারীতে স্মরন সভা

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২০  

ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ স্মরনে ধন্যবাদ আবেদ ভাই শিরোনামে নীলফামারীকে স্মরনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নীলফামারী শিল্পকলা একাডেমী সম্মেলনে ব্র্যাকের উদ্যোগে এই সভার আয়োজন করা হয়।ব্র্যাকের নীলফামারী জেলার সমন্বয়কারী লাইলুন নাহারের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মির্জা মুরাদ হাসান বেগ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(নীলফামারী সার্কেল) রুহুল আমিন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, জেলা কালচারাল অফিসার কাজী আরিফুজ্জামান, জেলার সম্মিলিত সাংস্কৃতি জোটের আহবায়ক আহসান রহীম মঞ্জিম, ইউএসএসের নির্বাহী পরিচালক আলাউদ্দিন আলী, নীলফামারী এ.আর জেনারেল হাসপাতালের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ প্রমুখ। 


ব্র্যাক কর্মকর্তাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আঞ্চলিক ব্যাকের ব্যবস্থাপক মাইক্রোফাইন্যান্স(দাবি) মিজানুর রহমান, মাইক্রোফাইন্যান্স(প্রগতি) মীর মতিউর রহমান, ব্রাক সৈয়দপুর শাখার জেনারেল ম্যানেজার আলিমুর রহমান, ব্রাক কিশোরীগঞ্জ সিনিয়র শাখা ব্যবস্থাপক ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ফজলে হাসান আবেদ স্মরণে দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে একটি “তুমি রবে নিরবে” প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। 
তার স্মরণে “আগুনের পরস মনি” গানটি পরিবেশন করেন জলঢাকা ব্রাক স্কুলের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী ফৌজিয়া হাসান বিন্তি। 


২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর স্যার ফজলে হাসান আবেদ ৮৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। স্মরনসভায় আলোচকরা বলেন, স্যার ফজলে হাসান আবেদ ছিলেন গ্রামবাংলার পালাবদলের স্বপ্নদ্রষ্টা। তিনি ব্র্যাককে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় পরিনত করতে পেরেছিলেন। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন এবং দারিদ্র বিমোচনে অগ্রনী ভুমিকা পালন করতে শিখিয়ে গেছেন। ক্ষুদ্র ঋণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং বাল্যবিবাহ রোধসহ সহ নানা খাতে কাজ করেছেন তিনি।"সমস্যা সমাধানে তাঁর কাজ করার পদ্ধতি ছিল একেবারেই আলাদা। প্রথম দিকে ছিল পুনর্বাসনের কাজ, পরে তিনি শিশুমৃত্যুর হার কমানো এবং মাতৃমৃত্যুর হার কমানোর জন্য কাজ করেন।"এ ছাড়া আফগানিস্তানসহ বিশ্বের অনেক দেশে বিস্তৃত ব্র্যাকের কার্যক্রম। বড় উদ্যোগের পাশাপাশি গ্রামীণ নারীদের হাতে তৈরি পণ্য বিক্রির জন্য আশির দশকের শেষের দিকে তিনি ব্র্যাক অঅড়ং প্রতিষ্ঠা করেন।এর মাধ্যমে দেশজ নকশা ও কাপড়, দেশীয় রূপা-তামা-কাঠ-পুঁতির গয়না নতুন করে প্রচলন হয়।নাগরিক সমাজে দেশীয় সিল্ক এবং রূপার গয়না নতুন করে জনপ্রিয় করে তোলার কাজটি করেন স্যার ফজলে হাসান।এরপর একে একে তিনি ব্র্যাক ব্যাংক, ব্র্যাক ডেইরী এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।"শিল্প-সাহিত্যের চর্চা তার প্রিয় কাজের একটি ছিল। আলোচকরা উল্লেখ করেন বলেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ জাতীয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বহু পুরষ্কার পেয়েছেন। পেয়েছেন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পদক থেকে শুরু করে, যুক্তরাজ্য এবং নেদারল্যান্ডসের সম্মানসূচক 'নাইটহুড' উপাধি। সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী পেয়েছেন অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।