• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

নতুন প্রযুক্তি ও জাত মানুষের কাছে দ্রুত পৌঁছাতে হবেঃ কৃষিমন্ত্রী

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০১৯  

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষিতে নতুন নতুন প্রযুক্তি ও জাত উদ্ভাবন করে মানুষের কাছে দ্রুত পৌঁছাতে হবে।

রোববার রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) ৫৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দিয়ে বলেছিলেন,‘আমার মান রাখিস।’ কৃষিবিদরা তার মান রেখেছেন, তারা প্রধানমন্ত্রীরও মান রাখবে। তাহলেই এসডিজি’র লক্ষ্য মাত্রা ২০৩০ সালের আগেই অর্জন করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, চাষা বলে এক সময় অভিজাত শ্রেণির লোকেরা কৃষকদেরকে ভর্ৎসনা করতো। কালের বিবর্তনে আজ অভিজাত শ্রেণির শিক্ষিত লোকেরা গর্ব করে কৃষিকাজে নিজের সম্পৃক্ততার কথা বলেন। কিন্তু বর্তমানে কৃষি শ্রমিকরা যে পারিশ্রমিক পায় তা দিয়ে তাদের জীবন চলা দায়। কৃষির আধুনিকায়ন ও বাণিজ্যিকীকরণই কৃষকদের আশার আলো দেখাবে। সেই সঙ্গে কৃষি প্রক্রিয়াজাত করে রফতানি করতে হবে। অপ্রচলিত অধিক মূল্যের ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে।

এর আগে তিনি বেলুন উড়িয়ে দিবসের শুভ সূচনা করেন এবং দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত মেলার স্টল পরিদর্শন করেন। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মূর‌্যাল উন্মোচন করেন এবং ইলেকট্রনিক গেট ও ভবনের দশম তলায় বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন করেন।

মন্ত্রী বলেন, ৭৫ পরবর্তী সরকার গণতন্ত্রের মুখোশ পরে দেশ ও জনগণকে শোষণ করেছে। এদেশের কৃষকরা সারের জন্য জীবন দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকের ঘরে ঘরে সার পৌঁছে দিয়েছেন, সার নিয়ে কৃষকদের মধ্যে কোনো উৎকণ্ঠা নেই, সারের মূল্য কমিয়ে কৃষকদের হাতের নাগালে রেখেছেন। এছাড়া কৃষি যন্ত্রপাতি, বীজসহ বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দেয়ার ফলে দেশের কৃষির সাফল্য বিশ্ব স্বীকৃত। সরকারের লক্ষ্য ছিল খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, তা হয়েছে। এমডিজি’র গোল অর্জিত হয়েছে,এখন এসডিজি’র গোল অর্জন করতে হবে। দেশ এরই মধ্যে ক্ষুধা মুক্ত হয়েছে। পুষ্টিকর নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা এখন চ্যালেঞ্জ। এটাও ২০৩০ সালের আগেই অর্জিত হবে।

ড. রাজ্জাক বলেন, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছে। তাই সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আসতে হবে। বিএডিসিকেও জবাব দিহিতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের সম্মান বৃদ্ধির জন্য সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে হবে।

বিএডিসি’র চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক কৃষি সচিব ড.এস এম নাজমুল ইসলাম, কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান ও এমপি আব্দুল মান্নান প্রমুখ।