নাগরিক দায়-দায়িত্বটা কোথায় হারিয়ে গেল?
– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২০
ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল
করোনা স্থবির করে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগ। কোভিড-১৯ আতঙ্কে কাঁপছে বাংলাদেশও। যদিও বাংলাদেশে সংক্রমণ এখনো কম, তবু বিপুল ঘনবসতির এই দেশে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। পাঁচজন এরই মধ্যে মারা গেছেন। এর শেষ কোথায় এটা এখন বোধহয় কেউ বলতে পারবেন না। আমিও পারবো না। তবে এটুকু বলতে পারি শেষটা অবশ্যই হবে।
এটা এমন কোনো জিনিস না যে এটা দিয়ে মানবসভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাবে। কতগুলো বৈজ্ঞানিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে এ কথা বলা যায়। ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে। ছয় মাসে না হোক ভ্যাকসিন চলে আসবেই। দ্বিতীয় বিষয় হলো এই ভাইরাসে মানুষ কেন অসুস্থ হচ্ছে বা মারা যাচ্ছে? কারণ এটি আমাদের জন্য নতুন একটি ভাইরাস। এর বিরুদ্ধে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ছিল না। যখন আস্তে আস্তে অনেক মানুষ আক্রান্ত হয়ে যাবে তখন আশেপাশের আরও অনেক মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে।
এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সারাজীবন স্থায়ী হবে, নাকি কয়েক মাস বা কয়েক সপ্তাহ- সেটা আমরা জানি না। কারণ ভাইরাসটাই নতুন। কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অবশ্যই তৈরি হবে। যখন সংক্রমিত হওয়ার কারণে ১০ জন মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে তখন আশেপাশের আরও পাঁচ-সাত জনের মধ্যেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ডেভেলপ করবে। এটাকে হার্ড ইমিউনিটি বলে।
একটা সময় আসবে যখন এই ভাইরাসটা আমাদের আশেপাশেই থাকবে কিন্তু হার্ড ইমিউনিটির কারণে বা ভ্যাকসিনের কারণে এটি নতুন করে আর আমদের সংক্রমিত করতে পারবে না। ফলে একটা পর্যায়ে এটি থামাতে বাধ্য হবে। সেটা কবে হবে তা অবশ্য আমরা হলফ করে বলতে পারি না। তবে যত তাড়াতাড়ি থামবে ততই মঙ্গল।
তবে মানুষকে আশ্বস্ত করার জায়গাটা হলো এই যে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সবাই কিন্তু মৃত্যুবরণ করবে না। শতকরা ৮০-৮৫ জনের কোনো উপসর্গই থাকবে না। ১০-১৫ শতাংশ মানুষের উপসর্গ দেখা দেবে আর তাদের মধ্যে অল্প কিছু মৃত্যুবরণ করবে। এটাই বাস্তবতা। রোগটি খুব বেশি ছোঁয়াচে হলেও একটু সচেতনতা আর সতর্কতা এর মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে পারে।
অনেকের মনে প্রশ্ন করোনা নিয়ে আমাদের সরকারের প্রস্তুতিটা কেমন? এটি আসলেই যে কেমন, তা কিন্তু শুধু তখনই জানা যাবে যদি স্রষ্টা না করুন করোনার ধাক্কাটা জোরে-সোরে আমাদের ওপর এসে পড়ে। প্রত্যেক দায়িত্বশীল গণতান্ত্রিক সরকারই তার নাগরিকদের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ সরকারও এর বাইরে না। মনে রাখতে হবে এক ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় বরাদ্দ দেয়ার পরও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হতে যাচ্ছে করোনার পরবর্তী এপিসেন্টার আর সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি নেয়ার পরও ইতালি আর স্পেনে মৃতের সংখ্যা পেছনে ফেলেছে চীনকে।
অন্যদিকে ভুটানে আক্রান্ত একজন আর নেপাল মারা যায়নি কেউই। অনেক শক্তিশালী আর উন্নত দেশ যা করতে পারেনি তাই করে দেখিয়েছে অনেক ছোট দেশও। কাজেই শুধু সরকারের ওপর দায়িত্ব চাপিয়ে বসে থাকলে হবে না, নিজেদের কাজটাও ঠিকঠাক মতো করতে হবে। আর গত কদিনে এই জায়গাটাতেই বোধহয় আমরা খুব বেশি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারিনি।
চীন থেকে যেসব দেশি-বিদেশি নাগরিককে দেশ ত্যাগের অনুমতি দেয়া হয়েছিল, তাদের সবাইকে চীনে কোয়ারেন্টাইন করে বিমানে উঠতে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তেমনটা করেনি ইতালি। পাশাপাশি উহান থেকে প্লেন বোঝাই করে যে বাংলাদেশিদের উড়িয়ে আনা হয়েছিল, তাদের আমরা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখতে পেরেছিলাম। এমনকি যেসব বাংলাদেশি ছাত্র ভারত হয়ে উহান থেকে দেশে এসেছিলেন তাদেরও ভারত সরকার কোয়ারেন্টাইন শেষেই দেশে পাঠিয়েছিল।
পাশাপাশি উহানের যে বাংলাদেশিদের বসবাস তারা মূলত ছাত্র ও শিক্ষক। তাদের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ খুব বেশি না। অন্যদিকে ইতালির ব্যাপারটা সম্পূর্ণই ভিন্ন। সেখানে বসবাস ছয় লক্ষাধিক বাংলাদেশির। কী নেই তাদের সেখানে? রেস্টুরেন্ট আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানতো বটেই, আছে এই জেলা আর ওই উপজেলা সমিতি আর সংঘও। তাছাড়া এসব বাংলাদেশিদের ওখানকার স্থানীয়দের সাথে মেলামেশাটাও উহানের বাংলাদেশিদের তুলনায় অনেক বেশি।
সঙ্গত কারণেই করোনার এপিসেন্টারটা চীন থেকে ইউরোপে স্থানান্তরিত হওয়ার পর যখন দলে-দলে প্রবাসী ইতালি থেকে দেশে আসতে শুরু করলেন, তখন আমরা হয়তো এত বিপুল সংখ্যক মানুষকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করতে না পেরে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছিলাম। আমরা হয়তো বুঝে উঠতে পারিনি চীন আর ইতালিফেরত প্রবাসীদের মধ্যকার এই পার্থক্যগুলো। তাছাড়া হোম কোয়ারেন্টাইনতো এ ধরনের প্যান্ডেমিকে ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সমিশন ঠেকানোর একটা প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতিও বটে।
কিন্তু আমাদের প্রবাসী ভাই-বন্ধুদের নাগরিক দায়-দায়িত্বটা কোথায় হারিয়ে গেল? একটি উন্নত দেশ থেকে আসার পরও হোম কোয়ারেন্টাইনের সংজ্ঞা না মেনে তারা ঘুরছেন-ফিরছেন, সামাজিকতা করছেন, এমনকি বিয়ে-শাদীও করছেন কেউ-কেউ! দেশে ফিরে কেন দেশটাকে এমন অনিরাপদ বানালেন তারা?
আর শুধু প্রবাসীদেরই বা দুষবেন কেন। সামাজিক বিচ্ছিন্নতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে সরকারের ঘোষিত ১০ দিনের ছুটিকে ঈদের ছুটি বানিয়ে যারা হাজারে-হাজারে, কাতারে-কাতারে দেশের বাড়িতে ছুটলেন, বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুতে তৈরি করলেন ১৫ কিলোমিটার ট্রাফিক জ্যাম, তারা কি একবারও ভেবে দেখেছেন আর সবকিছু বাদ দেন, যে পরম নিকটজনদের সাথে ছুটি কাটানোর উদ্দেশ্যে আপনাদের এই ঢাকা ত্যাগ, আপনাদের কারণে কত বেশি অনিরাপদ হয়ে পড়লেন তারা।
আজ এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে যদি আমাকে প্রশ্ন করেন আমদের এখন করণীয়টা তাহলে কী, আমার উত্তরটা হবে ছোট - আমাদের এই সংকটকে অবশ্যই সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে নিতে হবে, কিন্তু কোনোভাবেই আতঙ্কিত হওয়া যাবে না কারণ আতঙ্কিত ব্যক্তি কখনোই ঠান্ডা মাথায় সঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে পারে না। আমরা যদি সরকারের ওপর আস্থা রেখে সরকার বাতলে দেয়া নিয়ম-কানুনগুলো ঠিকঠাক মতো মেনে চলি তাহলে করোনা আমাদের কাবু করতে পারবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে তার ভাষণে এই কথাগুলোর ওপর জোর দিয়েছেন। আমার উত্তরটাও আমি তার কাছ থেকেই ধার করে দিলাম।
লেখক : অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, লিভার বিভাগ,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং সদস্য সচিব, সম্প্রীতি বাংলাদেশ।
- সব স্কুল-কলেজ ৭ দিন বন্ধ
- আপনি কি ঘুমের ভেতরে কথা বলেন?
- আইপিএলে পান্ডিয়াদের বিরুদ্ধে জোচ্চুরির অভিযোগ!
- শাবনূরের বিকল্প নেই: ডিপজল
- অপবিত্র জায়গায় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা, শরিয়ত কী বলে?
- টেকসই কৃষি ব্যবস্থা প্রচলনে সরকার কাজ করছে: স্পিকার
- প্রত্যেকের উচিত প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করা: গণপূর্তমন্ত্রী
- সড়কে দুর্ঘটনা রোধে প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ
- গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে
- দেশে তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি
- গরম আরো বাড়ার শঙ্কা
- প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন: অর্থমন্ত্রী
- নিষিদ্ধ যানে সড়কে মৃত্যুর মিছিল
- মে মাসে ৪৪ ডিগ্রি পৌঁছাবে তাপমাত্রা
- সম্মানী বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের
- প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস, আগামী দুদিন যেমন যাবে আবহাওয়া
- ‘শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন’
- ইসরায়েলের হামলাকে স্বীকার করছে না ইরান
- তীব্র তাপদাহেও যেভাবে ঘর থাকবে কনকনে ঠান্ডা
- বিএনপি পথহারা পথিক: ওবায়দুল কাদের
- আওয়ামী লীগ প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে কিছু করেনি: প্রধানমন্ত্রী
- মারা গেছেন জাতীয় পতাকার নকশাকার মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস
- আইপিএল থেকে চাইলেও যে কারণে যেতে পারেননি বাংলাদেশি এক ক্রিকেটার
- জুম্মাবার ও নামাজের গুরুত্ব
- শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এফডিসিতে নিরাপত্তা জোরদার
- বিজিপির আরো ১৩ সদস্য আশ্রয় নিলো বাংলাদেশে
- সড়কে দুর্ঘটনা রোধে প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ
- তীব্র গরমের মধ্যেই ধেয়ে আসছে ঝড়-শিলাবৃষ্টি
- ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু
- ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে
- ডিমলায় জুয়া খেলার অপরাধে আটক-২
- ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক
- রাতেই যেসব অঞ্চলে হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টি
- ট্রেনের সামনে ক্যামেরা বসাতে স্থায়ী কমিটির সুপারিশ
- ফারিণের ‘নিকষ’ অন্ধকার!
- অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি, ৫ যুগ্ম-সচিবের বদলি
- ‘সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে ভূমিসেবায় দুর্নীতি প্রতিরোধ করা হবে’
- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- অবৈধ দখলে থাকা খাস জমি চিহ্নিত করতে বললেন ভূমিমন্ত্রী
- সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২৯তম
- চিকিৎসা ব্যবস্থা যেকোনো মূল্যে সহজলভ্য করবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- ডোমারে ’বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস’ উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা
- ভয়াল ২৫ মার্চ আজ, রাতে ১ মিনিট অন্ধকারে থাকবে দেশ
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- মানুষের জীবন সহনীয় করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
- দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ
- জামদানিকে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত করা হবে: শিল্প সচিব
- রোহিঙ্গা সমাধানে নিউজিল্যান্ডকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান
- তুরস্কে আঞ্চলিক নির্বাচনে এরদোগান বিরোধীদের জয়
- ছবি নিয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দিলেন শরিফুল