• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

নিজ এলাকাকে শিল্পনগরী হিসেবে গড়ে তুলব: আদেল

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮  

আদেলুর রহমান আদেল। তিনি এইচ এম এরশাদের ভাগ্নে ও ময়মনসিংহে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত ড. আসাদুর রহমানের ছেলে। আদেলের মা বর্তমান সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য মেরিনা রহমান। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে নীলফামারী-৪ আসনে (সৈয়দপুর-কিশোরঞ্জ) জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী তিনি। ইতোমধ্যে নমিনেশন ফরমও সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন তিনি। নির্বাচিত হলে নিজ এলাকাকে শিল্পনগরী হিসেবে গড়ে তুলবেন তিনি। সেই সঙ্গে এলাকার সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন ও বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানে মনোনিবেশ করার লক্ষ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণে আগ্রহী।


দীর্ঘদিন ধরেই প্রবাস জীবনযাপন করছেন। হঠাৎ করেই জাতীয় পার্টির নতুন মুখ হিসেবে এবার নির্বাচনী মাঠে সরব উপস্থিতি। এর কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে আদেলুর রহমান আদেল বলেন, আমি প্রায় ১০ বছর ধরে দেশের বাইরে আছি। শুধু তাই নয়, বিদেশে অনেক ভালো অবস্থানেই ছিলাম। একটি আন্তর্জাতিক ব্যাংকে কর্মরত অবস্থায় চাকরি ছেড়ে সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করেছি। তিনি বলেন, বাবা ছিলেন একজন জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। মা-মামা সবাই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। রাজনৈতিক পরিবারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ও দেশের সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করতেই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছি। পাশাপাশি মামার (এরশাদ) আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করব। যে আদর্শ হচ্ছে উন্নয়নে সমতা। সারা দেশে সুষম উন্নয়নই হবে আমার রাজনীতির মূলমন্ত্র। সুতরাং জনগণ যদি চায় আর আমাকে নমিনেশন দেয়া হয় তাহলে আমি নির্বাচন করব।


এক প্রশ্নের জবাবে আদেল বলেন, ২০০১ সালে বাবা নির্বাচনে পরাজিত হন। এরপর ২০০৭ সালে এলাকার সবার অনুরোধে আমার মা এবং আমি দুজনেই নমিনেশন ফরম নেই। তবে ওয়ান ইলেভেনের কারণে আর ইলেকশন করা হয় না। এরপর আমি চাকরি পেয়ে দেশের বাইরে চলে যাই। ২০১৪ সালে দেশে আসা হয়নি বলে আর নির্বাচন করা হয়নি। এবার মনেপ্রাণে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার মানসিকতা নিয়েই দেশে ফিরেছি। গত ছয় মাস ধরে এলাকায় গণসংযোগ করছি। যদি নির্বাচিত হন তবে এলাকার উন্নয়নে কোন বিষয়কে বেশি প্রাধান্য দিতে আগ্রহী জানতে চাইলে আদেল বলেন, বাবা এলাকায় ইপিজেড তৈরি করেছিলেন। বর্তমানে সেখানে প্রায় ৪৮ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। বাবার সেই কাজকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি তার চেয়েও আরো বেশি কিছু করতে চাই। দেশের বাইরে থেকে খুব ভালোভাবে দেশকে জানার এবং বোঝার সুযোগ পেয়েছি। উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কোন কোন বিষয় দুর্বলতা রয়েছে সেগুলো খুঁজে দেখে তার উন্নয়ন সাধন করব। সৈয়দপুর এয়ারপোর্টকে আন্তর্জাতিকমানের করে তুলব ও রেল জংশনের উন্নয়ন ঘটাব। এতে করে সৈয়দপুর একটি আদর্শ শিল্পনগরীতে পরিণত হবে। পাশাপাশি আমার এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থায় তাদের আদর্শ করে গড়ে তুলব। এখানে কীভাবে আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায় ও আধুনিক কৃষি ব্যবস্থার মাধ্যমে এলাকার বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয় সেই চেষ্টা করব। কারণ আমি মনে করি, বেকার সমস্যা দূর হলে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন ঘটবে, পাশাপাশি নিরাপত্তা ফিরে আসবে ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে এলাকার লোক দূরে থাকবে। এ ছাড়া এলাকার সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কাজ করব। সেই লক্ষ্যে এলাকার রাস্তাঘাট মেরামতসহ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো আধুনিকায়ন করব।