• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

নির্বাচনে প্রচারণায় আ`লীগ নেতার মৃত্যু নিয়ে তোলপাড়

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ৪ মার্চ ২০১৯  

উপজেলা নির্বাচনের প্রচারনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ছোটভাই বিপ্লব কুমার সরকারের ঘুষিতে বড় ভাই তপন কুমার সরকার (৭০) নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (৩ মার্চ) রাত আটটার দিকে ঘটনাটি ঘটে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের ডাঙ্গারহাট নামক স্থানে। নিহত তপন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়ন সহ সভাপতি।

জানা যায় আগামী ১০ মার্চ প্রথমধাপে উপজেলা নির্বাচনের ভোট গ্রহন হবে ওই উপজেলায়। সেখানে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছে ৬ জন।

এদের মধ্যে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী জাকির হোসেন বাবুলের পক্ষে প্রচারনায় নামে তপন কুমার সরকার। অপর দিকে তপন কুমার সরকারের ছোট ভাই উপজেলা গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি বিপ্লব কুমার সরকার মোটরসাইকেল প্রতিক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। 

বাহাগিলি ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান দুলু জানান তপন কুমার সরকার সহ আমরা বাহাগিলি ইউনিয়নের ডাঙ্গারহাট এলাকায় নৌকার পক্ষে মাইকোবাসে প্রচারনা চালাচ্ছিলাম। এ সময় সেখানে চেয়ারম্যান পদের মোটরসাইকেল প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিপ্লব কুমার সরকার তার সমর্থকদের সহ এসে আমাদের মাইক্রোবাস প্রতিরোধ করে তপন কুমারকে মাইক্রোবাস হতে নামিয়ে তার পক্ষে কেন প্রচারনা করছে না বলে বচসায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হলে ছোট ভাই বিপ্লব বড় ভাইয়ের শরীরে কিল ঘুষি মারলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আমরা আহত তপন কুমার সরকারকে দ্রুত উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। তিনি দাবি করে বলেন ছোট ভাইয়ের আঘাতে বড় ভাইয়ের মৃত্যু হলো।

এ ব্যাপারে বিপ্লব কুমার সরকারের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমার অসুস্থ বড় ভাইকে নৌকা প্রতিকের লোকজন জোড়পূর্বক বাড়ি হতে প্রচারনার জন্য নিয়ে আসে। বড় ভাই এমনিতেই হৃদরোগ সহ ডায়াবেটিকস রোগে ভুগছে। আমার ধারনা বড় ভাই মাউক্রোবাসে অসুস্থ হয়ে মারা যায়। অথচ আমার প্রতিপক্ষরা এটিকে পুঁজি করে ফায়দা লুটার অপচেষ্টা করছে।

উপজেলা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাঃ সুজা শরীফ জেমস বলেন আমরা রোগীকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। সেখানে চিকিৎসার কোন সুযোগ ছিলনা। তবে তার শরীরে কোন আঘাতের চিহৃ পাওয়া যায়নি।

এদিকে এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানা পুলিশ সহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছুটে আসে।

কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি হারুন আর রশীদ জানান মরদেহের সুরতহালে শরীরে কোন আঘাতের চিহৃ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি আমরা সরেজমিনে তদন্ত করে দেখছি। সোমবার জেলার মর্গে লাশের ময়না তদন্ত করা হবে। ময়না তদন্তের রির্পোটের উপর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে ওসি জানান।