• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

নীলফামারী জেলা পরিষদ সচিবের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদে বদলী করা হয়েছে, নীলফামারী জেলা পরিষদ সচিব ড. মো. সাইফুল আলমকে। গত মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক বদলী প্রজ্ঞাপনে তাকে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোছা. নাজমা নাহার এই প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন। জনস্বার্থে জারিকৃত এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয় প্রজ্ঞাপনে।

সূত্র জানায়, গত ১২ মার্চ নীলফামারী জেলা পরিষদে সচিব হিসেবে যোগদান করেন তিনি। এখানে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ শূন্য থাকায় অতিরিক্ত হিসেবে এই দায়িত্বও পালন করছেন সাইফুল আলম। মাত্র সাত মাসের দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ ওঠে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

জেলা পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান দেওয়ান বিপ্লব আহমেদ বলেন, এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জেলার ছয় উপজেলার ডাকবাংলো কেয়ারটেকার থাকলেও, অপ্রয়োজনে দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে লোক নিয়োগ, পিটিআই সংলগ্ন দীর্ঘদিনের পুরোনো পুকুর মাটি দিয়ে ভরাটকরণ, আদালতে মামলা থাকা সত্ত্বেও- অপরাধের সাথে জড়িত সেসব লোক নিয়োগ, দরপত্র ছাড়াই কম্পিউটার, সিসি ক্যামেরা, আসবাবপত্র সংগ্রহ, অফিস মেরামত, সরকারি গাড়ির অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া জেলা পরিষদের লাইব্রেরীর জন্য, নিয়োগ প্রক্রিয়া না মেনে একজনকে হুট করে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি। এমনকি এ জন্য কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেননি।

অপর এক সুত্র জানায়, বিভিন্ন ব্যাংকে নীলফামারী জেলা পরিষদের প্রায় ৭০ কোটি টাকা ডিপোজিড রয়েছে। ওই টাকার লভ্যাংশ ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে, ভুয়া কাগজপত্রে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা অনিয়ম করা হচ্ছে।

জানা যায়, গত ২৮ আগস্ট বদলীর আদেশ হয়েছিলো সচিব মহোদয়ের। অথচ বদলী হওয়ার পরও তার স্বাক্ষরে ৪ সেপ্টেম্বর উচ্চমান সহকারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এটি অশুভ ইঙ্গিত।

বদলী ঠেকাতে তৎপরতা শুরু করেন তিনি। এমন কি উচ্চমান সহকারী পদে, জেলা পরিষদের একজন সদস্যের নিকট স্বজনকে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে।

সুত্র মতে, ২৮ আগস্ট মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিলেট সিটি কর্পোরেশনে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে বদলী করা হয়েছিল ড. সাইফুল আলমকে। এতে স্বাক্ষর করেছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ।এবার এই বদলীর আদেশকে পরিবর্তন করে তাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাপরিষদের আগামী ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে সাইফুল আলমের সঙ্গে কথা বলা হলে, তিনি তার বদলী হওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন। তবে তার বিরুদ্ধে আনিত অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে জেলা পরিষদের বেশ কিছু সদস্য তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সুষ্ঠুভাবে তদন্তের দাবি তুললে জনপ্রশাসনের পক্ষে আজ বৃহস্পতিবার একটি টিম তদন্তে আসে। সুত্র মতে তদন্ত ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য একজন প্রভাবশালী নেতা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।