• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

নীলফামারীতে ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবিতে সড়ক অবরোধ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ অক্টোবর ২০১৯  

নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়ক সম্প্রসারণ কাজে অধিগ্রহন করা জমি ও স্থাপনার টাকার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেছে ক্ষতিগ্রস্তরা। 

রবিবার(৬ অক্টোবর) বেলা ১২ টার দিকে ওই সড়কের দারোয়ানী মোড়ে ঘন্টাব্যাপী ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খন্দকার নাহিদ হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয়।

ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, জেলা প্রশাসনের আশ্বাসে জমি হস্তান্তর করে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও জমি ও স্থাপনার ক্ষতিপুরণের টাকা বুঝে পায়নি তারা।  

জেলা সদরের চড়াইখোলা ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক আবুল শেখ বলেন, ‘অনেক দিন ধরে অধিগ্রহনের টাকার জন্য আমরা ধরণা দিচ্ছি, কিন্তু কোন কাজ হচ্ছেনা। এর আগে চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারী এলাকাবাসী দারোয়ানী পিলার এলাকায় একই দাবিতে সড়ক অবরোধ করলে তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাহীনুর আলম ১৫ দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। এর নয় মাস পার হলেও সে টাকা পাওয়া যায়নি। এমনকি এ বিষয়ে দায়িত্বরতদের দপ্তরে গেলে ঠিকমত কথাও বলেন না তারা। 

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খন্দকার নাহিদ হাসান বলেন, ‘সড়ক ও জনপথ বিভাগ টাকা ছাড় না করার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জমি মালিকদের পাওনা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ঠ বিভাগের সঙ্গে গত ২ অক্টোবর সভা করেছি। ওই সভার সিদ্ধান্ত দ্রুত মন্ত্রনালয়ে পাঠাবো। টাকা ছাড় পাওয়া মাত্র ক্ষতিগ্রস্তদের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, জমি অধিগ্রহনে প্রয়োজন ২১০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে ১১০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। আরও প্রয়োজন এক শত কোটি টাকা। 

নীলফামারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মনজুরুল করিম বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে জমি অধিগ্রহনে জেলা প্রশাসনকে ১১০ কোটি টাকা প্রদান করেছি। জেলা প্রশাসন ৪৫ কোটি টাকা বিতরণ করার পরে এখনও তাদের কাছে ৬৫ কোটি টাকা আছে। সেটা বিতরণের জন্য জেলা প্রশাসনকে বলা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, নীলফামারী-সৈয়দপুর সাড়ে ১৫ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন কাজ শুরু হয় গত বছরের ২ আগস্ট। ওই কাজের মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের দাবি ইতিমধ্যে ৬৬ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।