নীলফামারীতে গৃহবধূ বর্ষা হত্যা মামলায় স্বামী গ্রেফতার

নীলফামারীতে গৃহবধূ মাহবুবা হোসেন বর্ষাকে(১৯) হত্যার অভিযোগে স্বামী তাওহিদ ইসলাম সিজারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার ১৫দিন পর  সোমবার রাত নয়টার দিকে যশোর জেলা শহরের রূপদিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। 

গত ২৩ আগস্ট রাত ১১টার দিকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতাল থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে নীলফামারী সদর থানা পুলিশ। ২৪ আগস্ট সকালে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাবুল হোসেন বাদী হয়ে ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে আটটার দিকে নীলফামারী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গৃহবধূর স্বামী তাওহিদ ইসলাম সিজারসহ চারজনকে আসামী করা হয়। ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক ছিলেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের করলা বেচা টারী গ্রামের মৃত খায়রুল ইসলামের ছেলে তাওহিদ ইসলাম সিজারের সঙ্গে নীলফামারী পৌরসভার পূর্ব কুখাপাড়া গ্রামের বাবুল হোসেনের মেয়ে মাহবুবা হোসেন বর্ষার সাথে বিয়ে হয়। মেয়ের বাবা বাবুল হোসেন জেলা সদরের পঞ্চপুকুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বিয়ের পর থেকে ১৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবীতে গৃহবধূ বর্ষার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো। এরই মধ্যে গৃহবধূ মাহবুবা হোসেন ৬ মাসের অন্তঃসত্বা হয়ে পড়েন। গত ঈদুল আযহার পর থেকে তারা যৌতুকের টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করছিল এবং নির্যাতনের মাত্রাও বৃদ্ধি করে। এমতাবস্থায় গত ২৩ আগস্ট পরিকল্পিতভাবে মেয়েকে হত্যা করে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্য নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

নীলফামারী সদর থানার ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূ মাহবুবা হোসেনের বাবা বাবুল হোসেন বাদী হয়ে গৃহবধূর স্বামী তাওহিদ ইসলাম সিজারসহ চারজনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক ছিলেন। পরে প্রযুক্তির মাধ্যমে মামলার প্রধান আসামী তাওহিদ ইসলাম সিজারকে যশোর জেলা শহরের রূপদিয়া মহল্লায় তার চাচার বাসা থেকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।