• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

নীলফামারীতে জীবন্ত গাছে বৈদ্যুতিক লাইন

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর ২০২০  

নীলফামারীর সদরে বৈদ্যুতিক পোলের পরিবর্তে বাঁশের খুঁটি আর রাস্তার পাশে থাকা বিভিন্ন গাছের সঙ্গে টানা হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহের মূল লাইন সংযোগ। এতে করে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে জনজীবন, এমনকি হুমকির মুখে পড়েছে অনেক  প্রজাতির গাছপালা। 

এসব কারণে বৈদ্যুতিক পোল না থাকায় ঘটে যায় অনেক দুর্ঘটনা। বৃষ্টি বা মাঝারি ধরনের বাতাস বইলেই বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ভোগে পড়তে হয় কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ গ্রামবাসীকে।

স্থানীয়দের আশঙ্কা, এই অবস্থা চলতে থাকলে আরো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলেও সমস্যার সমাধান পাননি ভুক্তভোগীরা। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড জুড়ে নিত্যানন্দি এলাকার জীবন্ত গাছে, এমনকি বাঁশের খুঁটিতে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বসত-বাড়িতে লাইন স্থাপন করেছে উপজেলা নেসকোর বিক্রয় ও বিতরণকেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষ। এমন চিত্র আরো দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে।

কোথাও দেখা গেছে, গাছের সঙ্গে লাগানো অ্যাঙ্গেলে ঝুলছে বৈদ্যুতিক জিআই তার। আবার কোথায় র‌্যাক ছাড়াই এসব তার দিয়ে টানা হয়েছে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ। 

ওই এলাকার বাসিন্দা ইয়াসিন আলী বলেন, কিছুদিন আগে একজন মানুষের তারের সঙ্গে জড়িয়ে মৃত্যু হয়েছিল। বাচ্চা মামুদের ছেলে খাদিমুল ইসলামসহ আরো অনেকে জানান, প্রায়ই তার ছিড়ে যায়। এরফলে মানুষ, গরু, ছাগলসহ দুর্ঘটনা থেকে রেহায় পায়না কেউই। স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসে কয়েকবার দরখাস্ত দেয়া হয়েছে কিন্তু এর কোনো সুরাহা হয়নি। শুধু কথা শুনেছি আজ না হয় কাল আসবে নতুন  খুঁটি। 

এছাড়াও তাদের অভিযোগ সদরের বিদ্যুৎ অফিসে লাইন সাহায্যকারী ছামিউল ইসলাম বাবলুর বিরুদ্ধে। তিনি প্রায় ১০-১২ বছর ধরে এই অফিসে থাকার কারণে অনেক গ্রাহকদের নিকট পোলের জন্য ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। ১০ বছর পার হলেও এলাকায় ঢুকাতে পারেনি সরকারি কোনো বৈদ্যুতিক পোল। 

অভিযোগের বিষয়ে লাইন সাহায্যকারী ছামিউল ইসলাম বাবলুর কাছে জানতে চাইলে কথা না বলে, তিনি বিষয়টি নিয়ে রফাদফায় বসতে বলেন।

এ ব্যাপারে নীলফামারী নেসকোর বিক্রয় ও বিতরণকেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী নওশাদ আলম এর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি রাজশাহী বিদ্যুতকেন্দ্রের হেড অফিসের ম্যানেজার সুবীর রঞ্জন প্রদ্দারের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।

এক মাসের মধ্যে এসব খুঁটি থাকবে না বলে মুঠোফোনে জানান, রংপুর অফিসের চিফ ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাত হোসেন সরকার। বৈদ্যুতিক পোলের টাকা নেয়ার অভিযোগের বিষয় তিনি বলেন, যদি কেউ কারো কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকে প্রমাণ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। 

মুঠোফোনে সুবীর রঞ্জন প্রদ্দার বলেন, আমি এসব বিষয়ে কিছুই জানি না। তবে এসব অভিযোগ থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও আমি এসি ও প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলবো যাতে দ্রত ব্যবস্থা নেয়া হয়।