• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

নীলফামারীতে পুলিশের সহায়তায় টাকা ফেরত পেল ব্যবসায়ী

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ অক্টোবর ২০২০  

নারায়নগঞ্জ জেলার আড়াই হাজার উপজেলার দুই ব্যবসায়ীর ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করে দিয়েছেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আউয়াল। পাওনা টাকা উদ্ধারের পর তাদের মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর/২০২০) রাতে নিজ এলাকায় পৌছে দেন তিনি। এ ঘটনাটি উপজেলা জুড়ে পুলিশের মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

জানা যায়, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের জাহিদুল ইসলাম নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজারে গিয়ে সাব ঠিকাদারী কাজ শুরু করেন। এতে পরিচয় ঘটে নারায়নগঞ্জ জেলার আড়াই হাজার উপজেলার পান্না বাউরীপাড়া গ্রামের সিমেন্ট ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম এবং জাঙ্গালিয়া গ্রামের ইট ও বালু ব্যবসায়ী বাছেদ মিয়ার সঙ্গে। সাব ঠিকাদার জাহিদুল ওই দুইজনের কাছ থেকে বাকীতে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকার মালামাল  ক্রয় করে। পরবর্তীতে ঠিকাদারী কাজ শেষ হলে জাহিদুল ইসলাম ঠিকাদারী বিল উত্তোলন করে বাকীর টাকার পরিশোধ না করেই নীলফামারীর গ্রামে চলে আসে। দীর্ঘ ৫ মাস থেকে আজ কাল করে টাকা তিনি পরিশোধ করেনি। 

বাধ্য হয়ে ওই দুই ব্যবসায়ী নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থানায় এসে জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। 

কিশোরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আউয়াল জানান, বিষয়টি তাৎক্ষণিক ভাবে আমি ওই ঠিকাদারকে খুঁজে বের করে থানায় নিয়ে আসি। এরপর সাক্ষ্য প্রমাণসহ বাকী টাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়। ঠিকাদার জাহিদুলকে বলা হয় সমাধান করে নিন, না হলে মামলাটি দায়ের করবো। ঠিকাদার জাহিদুল ইসলাম এক ঘন্টা সময় নিয়ে ওই দুই ব্যবসায়ীর পাওয়া টাকা থানায় এসে বুঝিয়ে দেন।

নারায়গঞ্জের ওই দুই ব্যবসায়ী আজ বুধবার মুঠোফোনে জানান, আমরা আমাদের প্রাপ্ত টাকা বুঝিয়ে পেয়ে পুলিশের সহায়তায় নিজ এলাকায় ফিরে এসেছি। তারা নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের প্রশংসা করে বলেন, আমাদের টাকা উদ্ধার করে দিয়ে আমাদের নিজ এলাকায় পৌছে দিয়েছেন। অথচ তারা এক কাপ চা পর্যন্ত আমাদের কাছে খায়নি। 

রণচন্ডি ইউনিয়নের নুর ইসলাম বলেন, আমার ছেলেকে চাকুরী দেবার নাম করে পুটিমারী ইউনিয়নের এক প্রভাবশালী আমার কাছে চার বছর আগে ৪ লাখ টাকা নিয়েছিল। আমার ছেলের চাকুরীতো দুরের কথা শেষে টাকা আদায় করতে পারছিলাম না। পরে বিষয়টি কিশোরীগঞ্জ থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানালে তিনি আমার টাকা উদ্ধার করে দেন। এরকম শতশত মানুষ থানায় এসে কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়া প্রকৃত আইনি সেবা পাচ্ছেন। 

নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, বর্তমান আমাদের পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজির আহমেদ স্যার যে নির্দেশনা দিয়েছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা জনমুখি পুলিশিং কার্যক্রম জোরদার করছি। তাছাড়া কিশোরগঞ্জ থানার বর্তমান ওসি পরপর দুইবার পুলিশের আনপল মিশন করার কারণে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলের অভিজ্ঞতা তিনি কাজে লাগাতে পারছেন। আমরা চাই সাধারণ জনগণ পুলিশকে বন্ধু ভাববে।