• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

নীলফামারীতে লবণ নিয়ে গুজব॥পুলিশের অভিযানে ৫ জন অসাধু ব্যবসায়ী আটক

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৯  

লবণের দাম বৃদ্ধি পেয়ে ১০০ টাকায় উঠবে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়েছে নীলফামারী জুড়ে। গুজবের তেলেসমাতির কারণে লবণ সংগ্রহে শতশত ভোক্তরা দোকানে হুমড়ে খেয়ে পড়ে। আজ মঙ্গলবার(১৯ নভেম্বর) সকাল হতে এমন পরিস্থিতি সৃস্টি হলেও বাজারে কোন লবণের  সংকট বা ঘাটতি ছিলনা। এরপরও বাসাবাড়ির মানুষজন লবণ কিনতে দোকানে দোকনে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। 

জেলা প্রশাসন,উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষে হাটবাজারে লবণ নিয়ে গুজবে কান না দেয়ার জন্য মাইকে প্রচারণা করা হয়। তবে লবণের কেজি বেশী দরে বিক্রির অভিযোগে ৫ জন অসাধু ব্যবসায়ীকে আটক করেছে ডোমার থানা পুলিশ।  

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডোমার থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান। আটকৃতরা হলোঃ আনোয়ার হোসেন(৫০), মঙ্গল মালাকার(৫৫) ও চঞ্চল কর্মকার(২৫), রুবেল ইসলাম(৪৫) ও আজগর আলী(৫০)।  

ডিমলা উপজেলার সঠিবাড়ি বাজারে লবণের কেজি ১২০ টাকায় বিক্রির অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। সেখানে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ অভিযান চালালে অসাধু ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। 

একই অবস্থা ছিল কিশোরীগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা বাজারে।

নীলফামারী জেলা শহরের বড় বাজারের লবণ ব্যবসায়ী তাপন ভৌমিক বলেন, লবণের দাম বাড়েনি। তবে হঠাৎ করে বিক্রি বেড়েছে। কেউ কেউ এসে ১০ কেজি থেকে ২ বস্তা, ৫ বস্তা, ১০ বস্তা, কেউবা ৪০ বস্তা পর্যন্ত লবণ কিনে নিয়ে গেছে। তিনি জানান, টাঙ্গাইল থেকে কে বা কারা লবণের মূল্য বৃদ্ধির গুজন ছড়িয়ে দেয়। এক ব্যাক্তি টাঙ্গাইলে মোবাইলে কার সঙ্গে যেন কথা বলে ৪০ বস্তা লবণ কিনে নেয়। এরপর এই খবর ছড়িয়ে পড়লে শতশত মানুষজন এসে লবণ কিনতে থাকে। তিনি জানান, আমরা ৭০ কেজি ওজনের বস্তা লবণ নিয়ে আসি খুলনা থেকে। পরিবহন খরচ সহ প্রতি বস্তা লবণ বিক্রি হচ্ছে নীলফামারীতে আটশত টাকা করে। এতে পাইকারীভাবে লবণের কেজি পড়ে প্রায় সাড়ে ১১টাকা। যা খুচরা হিসাবে মুদি দোকানীরা বিক্রি করেন ১৪/১৫ টাকা কেজি। তিনি আরো জানান পাইকারী ভাবে প্যাকেট লবণ বিভিন্ন কোম্পানীর বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়। যেমন পদ্মা লবণ ১৫ টাকা ২০ পয়সা করে ২৫ কেজির কার্টুনের দাম পড়ে ৩৮০ টাকা,এসিআইএর ২৪ টাকা ৮০ পয়সা কেজি দরে ২৫ কেজি কার্টুনের দাম ৬২০ টাকা ও ফ্রেস লবণ ২৪ টাকা ৪০ পয়সা কেজি হিসাবে ৬১০ টাকা হয়। খুচরা ব্যবসায়ীরা পদ্মা লবণ ২০ টাকা, এসিআইএর লবণ ২৮ টাকা ও ফ্রেস লবণ ২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। 

বড় বাজারের আরেক লবণ ব্যবসায়ী দাস ট্রেডাসের মালিক মনি বাবু বলেন, বাজারে কোন ভাবেই লবণের দাম বৃদ্ধি পায়নি। আমরা আগের দামেই লবণ বিক্রি করছি।

নীলফামারীর বড় বাজারে লবণের দর পূর্বের ন্যায় থাকলেও শহরের বিভিন্ন স্থান সহ উপজেলা পর্যায়ে ৫০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্যাতিক্রম দেখা যায় ডিমলা উপজেলা সঠিবাড়ি বাজারে। সেখানে মুদি দোকানী সহ ব্যবসায়ীরা লবণের কেজি ১২০ টাকা দরে বিক্রি করতে থাকে। খবর পেয়ে সেখানে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ ছুটে গেলে অসাধু ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়।

নীলফামারী চেম্বারের সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ সরকার জানান, নীলফামারী বড় বাজারে প্রচুর লবণ ব্যবসায়ী রয়েছে। এখানে লবণের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়নি। পূর্বের দামেই লবণ বিক্রি হচ্ছে।