নীলফামারীতে সবজি বীজ উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন কৃষক
নীলফামারি বার্তা
প্রকাশিত: ৮ জুলাই ২০১৯
সবজি বীজ উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন জেলা সদরের খোকসাবাড়ি ইউনিয়নের শাহপাড়া গ্রামের কৃষকরা। অর্জিত আয়ে ওই গ্রামের অনেকেই কিনছেন জমি। খড়ের ছাউনি বদলিয়ে নির্মাণ করেছেন টিনের ঘর। লেখাপড়া শেখাচ্ছেন সন্তানদের।
জেলা শহর থেকে নীলসাগর যাওয়ার সড়ক হয়ে পাঁচ কিলোমিটার দূরে গ্রামটির অবস্থান। সে গ্রামের কৃষি জমিতে বিভিন্ন বীজ উৎপাদনে স্থাপিত সারি সারি নেট হাউজ চোখে পড়ে সকলের। মানসম্মত সবজি বীজ উৎপাদন করা হচ্ছে এসব নেট হাউজে।
এলাকার কৃষকরা জানান, ওই নেট হাউজে আবাদ করা হয় বেগুণ বীজ। সঠিক মানের বীজ উৎপাদনের জন্য ওই হাউজের ব্যবস্থা। সাধারণ কৃষির চেয়ে খরচ বেশি বীজ উৎপাদনে, আয়ও কয়েকগুণ বেশি।
গ্রামের কৃষক মো. মোমিনুর রহমান জানান, বীজ ক্রয়ের নিশ্চয়তা দিয়েছেন লাল তীর কোম্পানি। সঠিক মানের বীজ উৎপাদনের জন্য কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে কোম্পানির লোকজন। বিভিন্ন জাতের বীজের আগাম মূল্য নির্ধারণ করে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। ওই কৃষকের কৃষি জমি সাড়ে তিন বিঘা। এর মধ্যে ধানের আবাদ করেন মাত্র ২২ শতক জমিতে। অবশিষ্ট জমি ব্যবহার করছেন বীজ উৎপদনের কাজে।
আগে রাজমিস্ত্রির পেশায় ছিলেন মোমিনুর। সে সময়ে অভাব অনটন লেগে থাকতো তার। ২০০৯ সালে এলাকার কৃষকদের বীজ উৎপাদনের আয় দেখে তিনিও নামেন এ কাজে। ওই বছর করলা বীজ উৎপাদন করে লাভবান হয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেন, এখন আর অভাবে পড়তে হয় না, না খেয়েও থাকতে হয় না।
কৃষক মোমিনুর গত বছর ৩৫ শতক জমিতে করলা বীজ উৎপাদন করে ৪২ কেজি বীজ বিক্রি করে পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪০০ টাকা। বীজ উৎপাদনে তার খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। প্রতি কেজি বীজ দুই হাজার ২০০ টাকা করে বিক্রি করেছেন তিনি। পাশাপাশি ওই বছর ২০ শতক জমিতে মিষ্টি কুমড়ার বীজ উৎপাদন করে পেয়েছেন ৩২ হাজার টাকা। এ জন্য খরচ হয়েছিল পাঁচ হাজার টাকা। এ কাজে যুক্ত থেকে গত নয় বছরে সংসারে এসেছেন স্বচ্ছলতা। খড়ের ছাউনি ফেলে নির্মাণ করেছেন টিনের ঘর। ৮০ হাজার টাকায় কিনেছেন সাত শতক জমি। সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ করেছেন বড় মেয়ের বিয়েতে। অপর এক ছেলে এক মেয়েকে পড়াচ্ছেন স্কুলে। এবারে বেগুন বীজ উৎপাদনের কাজে নেমেছেন ১৮ শতক জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরেছেন ৩৫ কেজি বীজ। এজন্য খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। নেট হাউজ তৈরিতেই তার খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। প্রথমবারের ন্যায় ওই নেট হাউজ তৈরি করায় খরচ একটু বেশি। তবে ওই নেট হাউজের আয়ু অন্তত ১০ বছর। পরবর্তীতে বীজ উৎপানে কমে যাবে সে খরচ। প্রতি কেজি বীজ বিক্রির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিন হাজার টাকা দরে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারে উৎপাদিত বেগুন বীজ থেকে পাবেন এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা।
মমিনুর বলেন, ‘বীজ উৎপাদনের কাজে নেমে ভালোভাবে চলছি। এখন আর অভাব নেই আগের মতো। আয় থেকে প্রতিবছর সংসারের সকল চাহিদা পূরণ করে বাড়তি টাকা থাকে।’
একইভাবে গ্রামের কৃষক হাফিজুল ইসলাম (৩৪) সাড়ে সাত শতক জমিতে বেগুন, পাঁচ শতকে টমেটো, এক বিঘায় করলা, ৪০ শতক জমিতে কুমড়া বীজ উৎপাদন করছেন। ২০০৮ সাল থেকে বীজ উৎপাদনের কাজে নিজেকে জড়িয়ে কিনেছেন জমি, বদলেছেন বাড়ির চেহারা, লেখাপড়া শেখাচ্ছেন ছেলে মেয়েদের।
হাফিজুল ইসলাম জানান, লাভ দেখে এলাকার কৃষকরা বীজ উৎপাদনের কাজে ঝুঁকে পড়ছেন। বর্তমানে গ্রামে বীজ উৎপাদনে কৃষকের সংখ্যা অর্ধশতাধিক।
বীজ উৎপাদন ও বিপণন কোম্পানি লাল তীরের নীলফামারী জেলা ব্যবস্থাপক নাসিরুল হক বলেন, ২০০৭ সাল থেকে এ জেলায় কৃষকদের মাধ্যমে বীজ উৎপাদন করা হচ্ছে। উচ্চ ফলনশীল বেগুন, মরিচ ও টমেটো বীজ নেট হাউজ পদ্ধতিতে করতে হয়। করলা, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, চিচিংগা, ঢেরস প্যাকেটের মাধ্যমে করা হয়। গোটা জেলায় চুক্তিবদ্ধ কৃষকের সংখ্যা ২৫০ জন। এর মধ্যে খোকশাবাড়ি ইউনিয়নে রয়েছেন ৫০ জন। সবজি বীজ চাষ করে ধানের চেয়ে ১০ গুণ বেশি লাভ করছেন কৃষক।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. মাজেদুল ইসলাম বলেন, সবজি বীজ উৎপাদন উম্মুক্ত থাকায় কৃষি বিভাগের কোনো প্রত্যয়নের প্রয়োজন হয় না। ব্যবসায়ীক কারণে কোম্পানিগুলো তাদের বীজের গুণগত মান ধরে রাখেন। বীজের কোম্পানিগুলোর তৎপরতায় কৃষকরা বীজ উৎপাদনে প্রশিক্ষিত হয়ে উঠছেন, ভবিষ্যতে সরকার কৃষকদের সহযোগিতা দিলে এ অঞ্চলে বীজ উৎপাদন একটি শিল্প হিসেবে গড়ে উঠবে।
- নারী ফুটবলারকে চুমুকাণ্ডে বড় শাস্তি পাচ্ছেন রুবিয়ালেস
- জায়েদ খানের নায়িকা হচ্ছেন ভারতের পূজা ব্যানার্জি, যা বললেন নায়ক
- জুমার দিন দরুদ পাঠের বিশেষ ফজিলত
- বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী
- ফিলিস্তিনিদের হত্যার পর বুলডোজার দিয়ে বালুচাপা দিলো ইসরায়েলি সেনা
- সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী
- শরীয়তপুরের সেই চিকিৎসককে চান না রৌমারীবাসী
- আইএমইআই পরিবর্তন করে মোবাইল বিক্রি, মূলহোতাসহ গ্রেফতার ২
- উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির
- প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: লড়বেন সাড়ে ৩ লাখ চাকরি প্রত্যাশী
- বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক: আগ্রহ ব্যবসাবাণিজ্যে
- সৈয়দপুরে ফেসবুক লাইভে থেকে যুবকের আত্মহত্যা
- কিশোরগঞ্জে হতদরিদ্র ১৬০ নারীর মাঝে বকনা গরু বিতরণ
- ডোমারে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১০ হাজার টাকা জরিমানা
- সারাদিন না খেয়ে থাকায় মুখে দুর্গন্ধ হচ্ছে, সমাধানে করণীয়
- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা
- দায়িত্বহীনতার কারণে ঈশ্বরদীতে ট্রেন দুর্ঘটনা: রেলমন্ত্রী
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- বিক্ষোভরত ইসরায়েলি জিম্মিদের স্বজনদের আটক করেছে পুলিশ
- বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া
- জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: পরিবেশমন্ত্রী
- ঈদ: সাড়ে ৮ ঘণ্টায় ট্রেনের ৩৫ হাজার টিকিট বিক্রি
- ‘বিএনপি ইসরায়েলের বিপক্ষে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি’
- আগের সব ভিসিকেই পালাতে হয়েছে: বিএসএমএমইউর বিদায়ী ভিসি
- ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ কমাতে ছুটি বাড়ানোর দাবি
- স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- কোটি হিটের পরও অবিক্রিত ট্রেনের ছয় হাজার টিকিট
- চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- রমজানে সিএনজি স্টেশন বন্ধের নতুন সূচি
- সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয় ২৫ ভাগ পেঁয়াজ
- ট্রেনের সামনে ক্যামেরা বসাতে স্থায়ী কমিটির সুপারিশ
- অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি, ৫ যুগ্ম-সচিবের বদলি
- ‘বঙ্গবন্ধুর মতো দুই-দুইবার ফাঁসির মোকাবিলা কেউ করেনি’
- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২৯তম
- কওমি মাদরাসা আছে, থাকবে: শিক্ষামন্ত্রী
- প্রথমবারের মতো স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন
- ডোমারে ’বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস’ উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা
- নতুন দামে সয়াবিন তেল মিলবে যেদিন থেকে
- ভয়াল ২৫ মার্চ আজ, রাতে ১ মিনিট অন্ধকারে থাকবে দেশ
- নিহত সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর ধর্ম-পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা
- ধর্মীয় উৎসব সবার মাঝে সম্প্রীতি বন্ধনের সৃষ্টি করে: ভূমিমন্ত্রী
- ছবি নিয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দিলেন শরিফুল
- বাংলাদেশের ম্যাচসহ টিভিতে আজকের খেলা
- দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ
- ডিমলায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক নিহত
- ২৩ নাবিককে মুক্ত করতে বিশেষ অভিযানের প্রস্তাব, বিশেষজ্ঞদের ‘না’
- ডোমারে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন